সূর্যকে পিছিয়ে কেন এগিয়ে আনা হয়েছিল অক্ষরকে? রোহিতের সমালোচকদের অশ্বিনের জবাব
যেই সমালোচকরা তৃতীয় ওয়ানডেতে সূর্যকুমার যাদব ও অক্ষর প্যাটেলের বিষয়ে রোহিত শর্মার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাদের নিন্দা করলেন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সমালোচকদের একহাত নিলেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি শেষ হওয়া ওডিআই সিরিজে ভারতের পরাজয় নিয়ে এখনও সমালোচনা চলছে। এখনও ভক্তদের মধ্যে এই হারের হতাশা কাটনি। তাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন ভারতের এই পরাজয়ের অন্যতম বড় কারণ হল সূর্যকুমার যাদবের ব্যর্থতা।
যখন SKY যখন চারদিক থেকে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন, তখন দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন করে সূর্যকুমারকে নামিয়ে উপরের দিকে তুলে এনেছিলেন অক্ষর প্যাটেলক। রোহিতের এই সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচকরা ভারতীয় ক্যাপ্টেনের সমালোচনা করছেন। বলা যেতে পারে সমালোচকদের টার্গেটে এখন হিটম্যান। এই বিষয় নিয়েই সেই সমালোচকদের এক হাত নিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি প্রায়শই তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে নিজের মতামত শেয়ার করে থাকেন। এবার তিনি রোহিত শর্মার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা সমালোচকদের আক্রমণ করেছেন।
আরও পড়ুন… সাবধান সিরাজ! রোনাল্ডোর সিউ সেলিব্রেশন করতে গিয়ে ফুটবলারের লিগামেন্ট ছিঁড়ল
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শ্রোতাদের সম্বোধন করে, শ্রেয়স আইয়ারের চোটের বিষয়টি তুলে ধরেন অশ্বিন এবং সূর্যকুমার যাদবের ‘আকর্ষণীয় সিরিজ’ সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন ‘শ্রেয়স আইয়ারের ইনজুরির মানে হল অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আমাদের স্থিতিশীল নম্বর চার ছিল না। তার ইনজুরি সূর্যকুমার যাদবের জন্য সুযোগ খুলে দিয়েছিল। তাঁর একটি আকর্ষণীয় সিরিজ ছিল, তিনটি বল খেলে তিনটি গোল্ডেন ডাকে আউট হয়েছিলেন সূর্য। এই নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে।’
অশ্বিন আরও বলেন, ‘সমালোচকরা বলছেন সূর্যর কি ওডিআই ক্রিকেট খেলা উচিত। ব্লা ব্লা ব্লা। যখন থেকে ভারত হেরেছে, এই প্রশ্নগুলি বহুগুণ বেড়েছে। এগুলো খুব বেশি দেখার দরকার নেই।’ রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেছেন যে ভারত সবসময় জয়ের প্রত্যাশা করে এবং তাই তারা যখন হারে, কঠোর সমালোচনা হয়। তিনি বলেন, ‘একটা বাধ্যতামূলক ব্যাপার যে ভারতকে সবসময়ই জিততে হবে। একটি মতামত আছে যে ভারত সবচেয়ে শক্তিশালী দল। আমরা একটি শক্তিশালী দল, এতে কোনও সন্দেহ নেই, তবে কোথাও কোথাও আমরা নিজেদেরকে অপরাজেয় বলে মনে করি। তাই হারের পরে প্রতিক্রিয়া আসে। জনসাধারণ মাঝে মাঝে কঠোর হতে পারে এমনকি বিশেষজ্ঞরাও আজকাল তাদের সমালোচনা নিয়ে খুব কঠোর হয়েছেন।’
আরও পড়ুন… নিতু ঘাঙ্গাসের হাত ধরে ২০২৩-এর বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম সোনা জিতল ভারত
অশ্বিন আরও বলেন, ‘এটা ক্রিকেটার বা ম্যানেজমেন্টের কোনও ভারসাম্যের বিষয় নয়। আমরা যখন ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, তখন আমাদের দলে যে স্থিতিশীলতা ছিল সেটাই প্রধান কারণ ছিল। আমি মনে করি আমরা নিজেরাই স্থিতিশীলতা কমিয়ে আনছি। বিশেষজ্ঞদের অবশ্যই জানতে হবে যে আসল বিষয়টি কী? এটা কি বৈধ সময়। তারা গেমটি খেলেছেন তাই তারাই আসল বিষয়টি জানতে পারবেন।’ অশ্বিন তখন ব্যাটিং অর্ডারে রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড়কে এলোমেলো করার এবং সূর্যকুমার যাদবের চেয়ে অক্ষর প্যাটেলকে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে রক্ষা করেছিলেন।
অশ্বিন বলেন, ‘সূর্য অর্ডারে নেমেছিলেন, অক্ষরকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল এবং কেএল রাহুল চার নম্বরে ব্যাটিং করে ছিলেন। এগুলো খেলার আলোচনার পয়েন্ট। অনুগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারটিকে স্থিরভাবে দেখুন। তাদের দলে ম্যাক্সওয়েল ফিরে এলে তারা তাঁকে কীভাবে ব্যবহার করবে? তিনি যে ধরণের ক্রিকেটার তাঁকে অনেক জায়গা. ব্যবহার করা যায়। সে এমন একজন খেলোয়াড় যে খেলায় দারুণ প্রভাব ফেলতে পারেন। সূর্যকুমার যাদব হলেন তেমনই একজন খেলোয়াড়। সে সত্যিই ভালো স্পিন খেলে। অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল তাই এটি আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেনি। কিন্তু মার্নাস ল্যাবুশেন, যিনি চার নম্বরে ব্যাট করেছিলেন, ডেভিড ওয়ার্নারের কারণে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে হয়েছিল। তারা যদি খেলায় হেরে যেত, তাহলে এই প্রশ্নগুলো করা হত। খেলা পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে এটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এটি একটি ধারণা।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেন তারা অক্ষরকে এগিয়ে এনেছিল? যদি তারা অক্ষরকে সমর্থন করে এবং সে যদি জাম্পা এবং আগরের বিরুদ্ধে ১০ ওভারে ৩৫ বা ৫০ রান করত, তাহলে খেলাটি ভারতের পকেটে এসে যেত। তাই উদ্দেশ্যটি সঠিক ছিল, কিন্তু সে রান আউট হয়ে যায়। ফলাফলটি সঠিক ছিল না।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
For all the latest Sports News Click Here