সুকেশ আমার জীবন নষ্ট করেছে, আবেগ নিয়ে খেলেছে: আদালতে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ
কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে, ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় গত ১ বছর ধরে আদালতের চক্কর কাটছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। তাঁদের একাধিক ঘনিষ্ঠ ছবি বাইরে এসেছে ২০২২-এ, যার মধ্যে একটিতে অভিনেত্রীর গলায় লাভ বাইটও দেখা গিয়েছে। মিডিয়াকে অনুরোধ করেছিলেন জ্যাকলিন যাতে সেই ছবি তাঁরা না প্রকাশ করে। ইডি-র দাবি সুকেশের অতীত ও পেশা জেনেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন কিক অভিনেত্রী ‘নিজ স্বার্থে’। আপাতত দেশ ছাড়ারও অনুমতি নেই তাঁর। সম্প্রতি সামনে এল অভিনেত্রীর দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে দেওয়া বিবৃতি। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমার আবেগ নিয়ে খেলেছে এবং আমার জীবনকে নরক বানিয়েছে সুকেশ চন্দ্রশেখর।’
‘সুকেশ আমাকে বিভ্রান্ত করেছে, আমার কেরিয়ার নষ্ট করেছে’, বলেন জ্যাকলিন আদালতে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন সুকেশ তাঁর সঙ্গে দেখা করে একজন সরকারি আধিকারিক হিসেবে। জ্যাকলিনের মতে, ‘তখন মনে বহয়েছিল কেউ ফাঁকি দিচ্ছে’।
সুকেশ ও জ্যাকলিনের কথা শুরু হয় ‘পিঙ্কি ইরানি (যে মহিলা অভিনেত্রীকে কনম্যানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন) আমার মেকআপ শিল্পী শান মুথাথিলকে বোঝানোর পর যে, তিনি (চন্দ্রশেখর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।’ আরও পড়ুন: কোর্টের ‘আপত্তি’, অসুস্থ মা-কে দেখতে বাহরিন যাওয়ার আবেদন প্রত্যাহার জ্যাকলিনের
জ্যাকলিন আরও বলেন, ‘তিনি নিজেকে সান টিভির মালিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে জে জয়ললিতা তাঁর আত্মীয়। চন্দ্রশেখর বলেছিলেন তিনি আমার একজন অনুরাগী। এবং আমায় বুঝিয়েছিলেন আমার দক্ষিণ ভারতেও সিনেমা করা উচিত। নিজেকে সান টিভির মালিক পরিচয় দিয়েছিলেন। বলেছিলেন তাদের অনেকগুলি প্রকল্প রয়েছে। আমাদের দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করা উচিত।’
জেল থেকে ফোন করার ব্যাপারে জ্যাকলিন আদালতকে জানিয়েছেন, ‘দু’জনে (পিঙ্কি ও সুকেশ) দিনে অন্তত তিনবার কল এবং ভিডিয়ো কলে কথা বলত। সে আমার শ্যুটিংয়ের আগে, সারাদিন এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও ফোন করত। তিনি কখনও বলেননি যে জেল থেকে ফোন করছেন। আর ভিডিয়ো কলের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেও আমার মনে হয়নি সেই ফোন জেল থেকে করা। পিছনে সোফা আর পরদা দেখা যেত।’
জ্যাকলিন আরও দাবি করেন ৮ অগস্ট ২০২১ সালের পর তাঁর আর সুকেশের সঙ্গে কথা হয়নি– ‘উক্ত তারিখের পরে তিনি আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি এবং আমি পরে জানতে পারি যে তাঁকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের ছদ্মবেশ ধারণ করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ সঙ্গে অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য নিজের নামও বদলেছিলেন সুকেশ। নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন শেখর হিসেবে। ‘আমাকে শেখর ঠকিয়েছে। আমি যখন শেখরের বাস্তব জানতে পারি, তখনই জানতে পারি ওর আসল নাম সুকেশ।’ সঙ্গে দাবি তোলেন, ‘পিঙ্কি সবটাই জানত সুকেশের ব্যাপারে, কিন্তু ও ইচ্ছে করেই এসব করেছে।’ প্রসঙ্গত, গ্রেফতার করা হয়েছে পিঙ্কি ইরানিকে এই আর্থিক প্রতারণার মামলায়।
জ্যাকলিন আরও বলেছেন, ‘যখন আমাকে কেরালায় যেতে হয়েছিল, তিনি আমাকে তাঁর ব্যক্তিগত জেট ব্যবহার করতে বলেছিলেন। তিনি কেরালায় আমার জন্য একটি হেলিকপ্টার রাইডের আয়োজন করেছিলেন। চেন্নাইতে যে একটি কিংবা দুটি অনুষ্ঠানে গিয়েছি আমি তা সুকেশের প্রাইভেট জেটে চড়েই।’
For all the latest entertainment News Click Here