‘সিনেমা নিয়ে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য’ বন্ধ করার নির্দেশ মোদীর, সাধু-সাধু করল বলিউড
সিনেমা ও সিনেমার তারকাদের নিয়ে ‘অপ্রয়োজনী’ মন্তব্য করা থেকে বিজেপি নেতাদের বিরত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়াদিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকের সময় মোদী বলেন, ‘কেউ অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করবেন না যা আমাদের কঠোর পরিশ্রমকে ঢেকে দেয়’।
বৈঠকে উপস্থিyত থাকা বিজেপির একজন আধিকারিকের মতে, ‘মোদীজি তাঁদের সাবধান করে দেয় যারা মূলত শিরোনামে আসার জন্যই এসব কথা বলে থাকেন।’ ভারতীয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন পরিচালক সমিতির (IFTDA) সভাপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা অশোক পণ্ডিত জানান, মোদীর এই বক্তব্য ‘আত্মবিশ্বাস কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে’।
অশোক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বড় উদ্যোগ নিসন্দেহে। যদি প্রধানমন্ত্রী তার নিজের লোকদের থামতে বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের বিরুদ্ধে বাজে কথা না বলার নির্দেশ দেন, যা তাঁদের এলাকাও নয়, করা হয় শুধুমাত্র প্রচারে থাকার জন্য়, তাহলে তা শিল্পজগতের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। বোঝায় দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সঙ্গে আছে। আর প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই সংকেত শুধু রাজনীতির মানুষদের জন্য নয়। মিডিয়ার জন্য, আমাদের নিজেদের ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের জন্য়ও।’
এফডব্লিউআইসিই (ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ) সভাপতি বি এন তিওয়ারি মোদীর বলা কথাকে হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি ‘শংসাপত্র’ হিসাবে বিবেচনা করছেন, যা ‘বয়কট বলিউড’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ঘৃণার জায়গা তৈরি করেছে তার বিরুদ্ধে।
‘আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই। কারণ কিছু লোক, নিজেদের দুই মিনিটের খ্যাতির জন্য এটা করছিল। প্রধানমন্ত্রী সর্বদা শিল্পের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেন, তবে বিজেপি এবং অন্যান্য ডানপন্থী দলগুলির কিছু সদস্য শিল্পের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে চলছিলেন, যা হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পকে প্রভাবিত করেছিল। সুতরাং, প্রধানমন্ত্রীর বলা কথা আমাদের জন্য একটি সার্টিফিকেটের মতো। এটি আমাদের কর্মী, প্রযুক্তিবিদ এবং শিল্পীদের ক্ষমতায়ন করবে’
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র এবং ভোপাল সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ কয়েকজন সিনিয়র বিজেপি নেতা শাহরুখ খান আর দীপিকা পাড়ুকোনের ‘পাঠান’ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। সিনেমার গান ‘বেশরম রং’ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন একটা অংশ। বিশেষ করে নায়িকার পরে থাকা গেরুয়া বিকিনি নিয়ে। দাবি তুলেছিলেন, হিন্দুদের পবিত্র রং গেরুয়া, আর সেই রঙের বিকিনি পরা ‘বেশরম রং’ গানে আসলে হিন্দু ধর্মের অবমাননা। তাঁদের পক্ষ থকে যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি বয়কটের ডাক ওঠে, তেমনই নির্মাতাদের কাছেও নির্দেশ যায় যাতে দীপিকার গেরুয়া বিকিনি পরা দৃশ্য ছবিতে রাখা না হয়।
এর আগে সুনীল শেট্টি-র তরফে ইউপি-র প্রধানমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, ‘যে হ্যাশট্যাগটি চলছে, বলিউড বয়কট করুন, এটা বন্ধ হতে পারে আপনার কথায়। আমরা ভালো কাজ করছি এই কথাটি ছড়িয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পচা আপেল সর্বত্র আছে, কিন্তু শুধুমাত্র এই কারণে আপনি পুরো শিল্প জগতকে পচা বলতে পারবেন না। আজ মানুষ মনে করে বলিউড ভালো জায়গা নয়, কিন্তু আমরা এখানে এত ভালো ভালো ছবি বানিয়েছি। সুতরাং যোগীজি আপনি যদি নেতৃত্ব দেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন তাহলে তা অবশ্যই একটা বড় ফারাক আনবে।’
For all the latest entertainment News Click Here