সিডের জন্য রান্না করে কাঠগড়ায় মিঠাই, অভিমানে শেষমেশ এ কী করে বসল!
এখনও উত্তপ্ত ‘মনোহরা’। জারি ছেলে বনাম মেয়ের লড়াই। এ হেন অবস্থায় ধৈর্য চ্যুতি ঘটে মিঠাইয়ের! উচ্ছেবাবু না খেয়ে থাকবে? তা আবার হয় নাকি? তাই সকলকে লুকিয়ে সে রান্না করে বরের জন্য।
কিন্তু গোপন কথা কি আর গোপনে থাকে? টেস অর্থাৎ তোর্সার কৃপায় স্বামী-স্ত্রীর এই গোপন অভিযান আসে প্রকাশ্যে। তাদের ছবি তুলে রাখে সে। সেখানে স্পষ্টই দেখা যায়, বরের জন্য রান্না করছে মিঠাই। অর্থাৎ দলের নিয়মভঙ্গ! কথা ছিল, বাড়ির মেয়েরা ছেলেদের আর কোনও রকম সাহায্য করবে না। কিন্তু এ কী, সর্ষের মধ্যেই ভূত!
(আরও পড়ুন: সে কী! মিঠাই-এর সেটে দুর্ঘটনা, হাত পুড়ল তোর্সার, ছবি দেখে চোখে জল ভক্তদের)
ব্যস, শুরু বিতণ্ডা। মাঠে নামে দুই দলের দুই কান্ডারি। অর্থাৎ সিদ্ধেশ্বর এবং সুষমা। ‘সিধাই’কে উদ্দেশ্য করে চলতে থাকে তীব্র তিরস্কার। সিড যদিও প্রকাশ্যে বৌয়ের পক্ষ নেয়নি। কিন্তু তাতে কী আর তর্ক থামে? অভিমান হয় মিঠাইয়ের। বলে, নিয়মভঙ্গ করে অন্যায় করেছে। তাই এ বার নিজেকে শাস্তি দেবে সে।
যেমন কথা, তেমন কাজ। বাড়ির বারান্দায় কান ধরে দাঁড়িয়ে পরে মোদক বাড়ির অন্যতম প্রিয় সদস্য। অভিমানে মুখ ভার। স্ত্রীর ‘পাগলামি’তে বিহ্বল সিড। ছুটে এসেছে তার কাছে। অনুরোধ করেছে, নিজেকে যেন এ ভাবে কষ্ট না দেয় মিঠাই। কিন্তু সব চেষ্টাই বৃথা! নিজের সিদ্ধান্তে অনড় সে। কোনও উপায় না পেয়ে নিপার দ্বারস্থ সিড। তার সাহায্যেই শেষমেশ মিঠাইয়ের মানভঞ্জন।
তবে লড়াই কি শেষ? না, একেবারেই না। পর দিন সকালেই যে যার মেজাজে রণক্ষেত্রে। মেয়েরা তাদের চায়ের ব্যবস্থা করে নিয়েছে অবলীলায়। কিন্তু ছেলেরা করবে কী? তখনই মুশকিল আসান করতে ফ্লাস্কে করে চা নিয়ে হাজির সন্দীপ। কিন্তু এর পর? কত দিন চলবে এই লড়াই? এখন সেটাই দেখার।
For all the latest entertainment News Click Here