সারেগামাপা-র মঞ্চে রাজনীতির শিকার? বিচারকদের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন কাবো

সদ্যই শেষ হয়েছে জি বাংলা সারেগামাপা-র ২০২২-২৩ সিজন। এই গানের রিয়ালিটি শো নিয়ে গত আট মাস ধরে উন্মাদনার পারদ ছিল তুঙ্গে। রবিবার সন্ধ্যায়, যৌথভাবে বিজয়ীর মুকুট উঠেছে পদ্ম পলাশ হালদার ও অস্মিতা করের মাথায়। সেই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকের কাছেই সারেগামাপা-র যোগ্য বিজয়ী অ্যালবার্ট কাবো লেপচা (Albert Kaboo Lepcha। দর্শকদের বিচারে অবশ্য তিনিই সেরা হয়েছেন। সারেগামাপা-র সফর নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিনিধি প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ধরা দিলেন অ্যালবার্ট কাবো।

কেমন ছিল জি বাংলা সারেগামাপা-র আট মাসের সফর?

অ্যালবার্ট কাবো: আমি দর্শকদের ভালোবাসায় আপ্লুত। আমি যখন শিলিগুড়িতে প্রথম অডিশন দিয়েছিলাম, সেদিন থেকে গ্র্যান্ড ফিনালের সফর আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এত মানুষের ভালোবাসা, এত আর্শীবাদ, পাশাপাশি ফেসবুক ভিউয়ার্চ চয়েসে সেরার পুরস্কার- আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমি কৃতজ্ঞ।

একটুর জন্য হাতছাড়া বিজয়ীর ট্রফি, সারেগামাপা-তে দ্বিতীয় স্থান পাওয়ার আফসোস রয়েছে?

অ্যালবার্ট কাবো: আরে একদম নয়! আমার মধ্যে কোনওরকম আফসোস নেই। জি বাংলা আমাকে যে প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে তাই আমার কাছে যথেষ্ট। আগে কেউ চিনতো না অ্যালবার্ট কাবোকে। এখন আমাকে সবাই চিনছে, জানছে- সবটাই জি বাংলা সারেগামাপা-র দৌলতে। আমি সন্তুষ্ট। রানার্স আপ হওয়াটাও বড় ব্যাপার আমার কাছে। আমার কাছে বিচারকদের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য। ওখানে যাঁরা বিচারক ছিলেন সকলেই লেজেন্ড, গুণী মানুষ, আমি ওঁনাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত।


কাবো হেরে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ধুন্ধুমার কাণ্ড, আপনার ফ্যানেরা তো খুব হতাশ। কেমনভাবে দেখছেন গোটা ব্যাপারটা?

অ্যালবার্ট কাবো: (মুচকি হেসে) আসলে দেখুন এটা কিন্তু ওঁদের রাগ নয় ভালোবাসা। ওঁরা মন থেকে সাপোর্ট করেছিলেন আমাকে, চেয়েছিল আমি জিতি। তাই হয়ত মন খারাপের জায়গা থেকে এগুলো বলেছেন তাঁরা। আমিও দেখেছি সেই সব কমেন্ট। তবে আগেই বললাম বিচারকদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কাছে শেষ কথা, আমার মতে ওঁনারা ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কালিম্পংয়ের টুরিস্ট গাইড থেকে সারেগামাপা-র রানার্স আপ, কাবোর জীবন কতটা বদলে গেছে এই ক’দিনে?

অ্যালবার্ট কাবো: পরিবর্তন তো এসেছে, তা অস্বীকার করবার জো নেই। আট মাসে অনেক কিছু পালটেছে। গ্র্যান্ড অডিশনের পর থেকে আমি অনেক জঁরের গান করেছি। আমি তো বাংলা গান বা আরও অনেক ধরণের গান গাইতাম না। সেগুলো শেখবার সুযোগ পেয়েছি। পাশাপাশি সাধারণ যে জীবন কাটত সেটাও পালটে গেছে, কারণ এখন লোকজন বাইরে বেরোলে চিনতে পারছে। সেলফির আবদার করছে। তাই হঠাৎ করে বাইরে বেরোনো একটু মুশকিল হয়ে পড়েছে।

 

<p>স্ত্রী পূজা ছেত্রীর সঙ্গে কাবো</p>

স্ত্রী পূজা ছেত্রীর সঙ্গে কাবো

কাবো বিবাহিত জেনে মন ভেঙেছে মহিলা ভক্তদের, এতো ফিমেল ফ্যানস আপনার, তাঁদের সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে?

অ্যালবার্ট কাবো: (লাজুক হাসি) হ্যাঁ, আমি তো বিবাহিত এটা ঠিক কথাই। আমার তো একটা মেয়েও আছে। অনেকেই আগে জানতো না এই ব্যাপারটা। তবে শুরু থেকেই আমার স্ত্রী (পূজা ছেত্রী) আমাকে খুব সাপোর্ট করেছে। ওর সমর্থন না থাকলে আমি আজ এই জায়গায় পৌঁছাতাম না। মহিলা ভক্তদের আমি মন থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারুর মন ভাঙার কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না। যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকো তাঁকে মন থেকে সরি বলছি। আমি জানি কারুর মন ভাঙা উচিত নয়, সবার কমেন্ট পড়ি সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে অনেকেই বলে, ‘এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করার কী দরকার ছিল’? তবে গোটা বিষয়টাই আমি সবার ভালোবাসা হিসাবেই দেখি।

কাবোর ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?

অ্যালবার্ট কাবো: এখন তো প্রচুর শো-এর ডাক পাচ্ছি। সবকিছু সামলাতে হচ্ছে। এর বাইরে নতুন গানের প্রস্তুতিও নিচ্ছি। ছবির গান রয়েছে হাতে কিছু, অনেক বাংলা গানও রয়েছে। সবকিছু নিয়েই এগোচ্ছি। শীঘ্রই নিজের কিছু সিঙ্গলস মুক্তি পাবে ইউটিউবে আমার অফিসিয়্যাল চ্যানেলে।

 

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.