‘সারা মুখে আঁচড়ে দিল’,জোর করে বউয়ের গর্ভপাত করানোর অভিযোগ ওড়াল ‘মিঠাই’-এর নায়ক
অভিনেতা স্বামীর নামে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী কাজল চোঙ্কর। হিন্দি টেলিভিশনের পরিচিত মুখ আশিস ভারদ্বাজ। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে (হিন্দি) সিদ্ধার্থের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন আশিস। গত বছর নভেম্বরেই বাগদানের খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন কাজল, দু-সপ্তাহ আগে নিজেদের ম্যারেজ রেজিস্ট্রির নথি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন তিনি। তখনও গোটা ব্যাপারটা ঠাওর করে উঠতে পারেনি কেউ।
দু-দিন আগেই স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন-সহ একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কাজল। এবার স্ত্রীর অভিযোগের পালটা জবাব দিলেন আশিস। জানালেন, কাজলের হাতে নিয়মিত মার খেতেন তিনি। অত্যাচার সহ্যের সীমা ছাড়ানোয় এই টক্সিক সম্পর্ক ভেঙে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছেন।
কাজলের অভিযোগ তিন বছর ধরে আশিসের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। আশিস বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জেরেই সহবাসে রাজি হয়েছিলেন তিনি, কিন্তু অজুহাত দিয়ে শুরুতে বিয়ে থেকে পিছিয়ে যেতে থাকেন আশিস। কাজলের কথায়, ‘যখন ও মিঠাই-এর শ্য়ুটিং করছিল আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। আমি জোর করি আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে ওর পরিবারকে জানাতে, কিন্তু ও নানান অজুহাত দিতে থাকে। এরপর জোর করে আমার গর্ভপাত করায়, বলে অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে ঘরের বউ করতে রাজি হবে না পরিবার। আমি সেটাও মেনেনি, এরপর আচমকাই গায়েব হয়ে যায় আশিস, আমাকে ইগনোর করতে থাকে’। কোনওরকম উপায় না দেখে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আশিলের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করেন কাজল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন সেই এফআইআরে।
এরপরই আশিসের পরিবার হস্তক্ষেপ করে, এবং দুজনের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে উত্তর প্রদেশে রেজিস্ট্রি বিয়ে সারেন দুজনে। যদিও নথি বলছে এক বছর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উত্তর প্রদেশে গোপনে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন তাঁরা। পরে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। কাজলের কথায় স্বাক্ষর করবার সময় তিনি পেপার পড়েননি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের এফআইআর-কে ভিত্তিহীন প্রমাণ করতে এই চক্রান্ত আশিসের পরিবারের।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে আশিস পালটা জানান, স্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইতিমধ্যেই আইনজীবী মারফত কাজলকে জবাব পাঠিয়েছেন তিনি। আশিস বলেন, ‘আমি বিয়ের কথা অস্বীকার করছি না। হ্যাঁ, আমরা বিয়ে করেছিলাম কিন্তু এখন আর একসঙ্গে থাকি না। না থাকার পিছনে বিরাট বড় কারণ রয়েছে, ও এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছিল যে আমি কাজে যেতে পারছিলাম না। আমাকে অডিশনে যেতে দিত না। একদিন আমার অডিশনে যাওয়ার ছিল, আর আমার সারা মুখে আঁচড়ের দাগ করে দেয় ও’। গর্ভপাত করানোর কথাও উড়িয়ে দেন আশিস, তাঁর দাবি, ‘গর্ভপাত করানোটা ওর সিদ্ধান্ত ছিল। আমি ওর সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতাম চেক-আপের জন্য, গর্ভপাতের দিন ও একাই গিয়েছিল। গোটা ব্যবস্থাপনা ওর, আমি কিছু জানতাম না’।
For all the latest entertainment News Click Here