‘সারাদিন জল খেয়ে থাকতাম’, ইমনকে গায়িকা বানাতে বহু কষ্ট সয়েছেন তাঁর বাবা!
বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম নামী শিল্পী হলেন ইমন চক্রবর্তী। তাঁর গলার জাদুতে মুগ্ধ বহু মানুষ। রবীন্দ্র সংগীত এবং ফোক গানে সহজেই মঞ্চ মাতাতে পারেন তিনি। তবে এই গায়িকার জীবনের লড়াইটা যে খুব সহজ ছিল এমনটা মোটেই নয়। তিনি খুব অল্প বয়সেই তাঁর বাবাকে হারিয়েছেন। ইমন চক্রবর্তীর বাবা শঙ্কর চক্রবর্তী তাঁর জীবন জুড়ে আছেন অনেকটা।
কলকাতা নয়, বরং মফঃস্বল এলাকায় বড় হয়ে উঠেছেন তিনি। পরিবারের নানা সমস্যা এড়িয়ে থাকা সহজ হয়নি তাঁর পক্ষে। বরং অনেকটা এগিয়ে এসেই সেই লড়াইয়ে হাল ধরতে হয়েছে। তবুও এই সমস্যার মধ্যে কখনও তাঁকে কোনও বিপদে পড়তে দেননি একজন। পাশে থেকেছেন সবসময়। তিনি আর কেউ নন গায়িকার বাবা। বাবাকে ঘিরেই যেমন তাঁর বেড়ে ওঠা, তেমনই তাঁর বাবার কাছে তিনিই বাঁচার সম্বল।
আজ ইমন সফল। তবে অনেক নাম ডাক। কিন্তু তবুও বাবা বা মেয়ে কেউই তাঁদের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা ভুলে যাননি। ইমনের বাবা শঙ্কর চক্রবর্তী জানিয়েছেন তিনি কোনও কোনওদিন সকালে বেরিয়ে রাত ১২টা একটায় বাড়ি ফিরেছেন। তাঁর কথায়, ‘ইমনের জন্য খাবার নিয়ে যেতাম। ওকে খাওয়াতাম। কিন্তু নিজে না খেয়ে দিন কাটিয়েছি। শুধু জল খেয়ে থাকতাম। তবুও দেখতাম যাতে ওর কষ্ট না হয়। ও কষ্ট পেলে যে গান গাইতে পারবে না। ওকে ঠিক রাখার জন্য আমার এই লড়াই।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় বাড়ির ভাড়া পর্যন্ত দিতে পারিনি। কিন্তু ওকে কিছুই জানতে দিইনি।’ বাবার মুখে সব শুনে আবেগঘন হয়ে পড়েন গায়িকা। বলেন, ‘বাবা হওয়া কি সহজ?’
বাবা যেমন এককালে তাঁর জন্য এতটা কষ্ট করেছেন, আজ তেমনই বাবার জন্য নিজের সবটা উজাড় করে দেন ইমন। তাঁর যাতে কোনও কষ্ট না হয় সেদিন সর্বদা সতর্ক নজর থাকে গায়িকার। একবার দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসে তিনি বলেছিলেন তাঁর বিয়ে হয়ে গেলেও পরিবারে নতুন সদস্য যোগ হবে। কিন্তু বাবার জন্য তিনি যা যা করেন সেটাই করবেন বিয়ের পর। নীলাঞ্জন ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরও সেই কথা রেখেছেন তিনি। এমনকি তিনি বাবাকে বিয়ে পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলেন মায়ের মৃত্যুর পর যাতে তাঁর একা না লাগে।
For all the latest entertainment News Click Here