সাত গোলের শোক কাটিয়ে বেটিসের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড
প্রিমিয়র লিগে লিভারপুলের বিরুদ্ধে লজ্জার হারের মুখ দেখতে হয় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে। সাত গোল হজম করতে হয় এরিক টেন হাগের ছেলেদের। অবশেষে সাত গোল হজমের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা হলেও সক্ষম হল ম্যান ইউ। ইউরোপা লিগে রিয়াল বেটিসকে ১-৪ গোলে হারাল টেন হাগের শিষ্যরা।
গত ম্যাচে হারের পর সমালোচিত হতে হয় ম্যান ইউয়ের ফুটবলারদের। এমন ফলাফলের জেরে ফুটবলারদের যে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন ইউরোপা লিগে রিয়াল বেটিসের মুখোমুখি হয় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। গত ম্যাচের ধাক্কা সামলাতে শুরু থেকেই ঝাপিয়ে পড়ে তারা। তাতে সফলও হয় টেন হাগের দল।
ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস রাশফোর্ড। অবশ্য এই গোলের পরই ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালায় তারা। কিছুটা হলেও বিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয় বেটিস। ৩২ মিনিটের মাথায় পেরেজের গোলে সমতা ফেরায় বেটিস। প্রথমার্ধে খেলার ফলাফল থাকে ১-১। স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যায় ম্যান ইউ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ফের দাপট দেখাতে শুরু করে হাগের শিষ্যরা। বিপক্ষ দলকে আর কোনও রকম সুযোগ দেননি তারা। ৫২ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অ্যান্টনি। এই গোলের ফলে অক্সিজেন ফিরে পায় ম্যান ইউ। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদেরকে।
এর কয়েক মিনিট পরই ফের গোল করে ম্যাঞ্চেস্টার। এবার গোল করেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। ৫৮ মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। ফলে হার কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় বেটিসের। এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও ফিরতে পারেনি তারা। ম্যাচে ম্যান ইউ সমর্থকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন বেটিসের সমর্থকরা। পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোলটি করেন ওয়েগহোস্ট। ৮২ মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। আর গোলের সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচ জিতে নেয় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। গত ম্যাচে সাত গোলে হারার পর অবশেষে এই ম্যাচ জেতায় কিছুটা হলেও অক্সিজেন ফিরে পেল এরিক টেন হাগের দল।
ইউরোপা লিগের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হয় আর্সেনাল এবং স্পোর্টিং সিপি। সেই ম্যাচ ২-২ ড্র হয়। উইলিয়াম সালিবার গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ১ গোলে এগিয়ে গেলেও তা বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৩৪ মিনিটের মাথায় গোনসালোর গোলে সমতা ফেরায় স্পোর্টিং। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে। অবশ্য ৫৫ মিনিটের মাথায় স্পোর্টিংকে এগিয়ে দেন পাওলিনহো। ফলে চাপে পড়ে যায় আর্সেনাল। ৬২ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোল করেন স্পোর্টিংয়ের মোরিতা। ফলে ম্যাচের ফলাফল দাঁড়ায় ২-২। এরপর আর কোনও দলই গোলের মুখ দেখতে না পারায় এই ম্যাচ ড্র হয়।
For all the latest Sports News Click Here