সহকারির সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন! রেখার ‘ছেলে’ ডাকে আপত্তি তুললেন মণীশ মলহোত্রা
দিনকয়েক ধরেই চর্চায় আছেন রেখা। যার পিছনে হাত রয়েছে রেখার জীবনী ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’-র। সেখানে প্রকাশিত কয়েকটা লাইনই আপাতত ঝড় তুলেছে সর্বত্র। বইয়ের ২৮ নম্বর চ্যাপ্টার জুড়ে রয়েছে বলিউডের এই অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর সহকারী, ছায়াসঙ্গী সহকারী ফরজানা। এই বইতেই লেখা হয় ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক রেখা ও ফরজানার’। সঙ্গে দাবি করা হয় রেখার বেডরুমে আর কারও ঢোকার অনুমতি নেই। তবে অবাধ প্রবেশ তাঁর সহকারীর। তবে এরই মাঝে চর্চায় উঠে এল ডিজাইনার মণীশ মলহোত্রার বলা কিছু কথাও। যেখানে তিনি সরাসরি আপত্তি তুলেছেন কথায়-কথায় সকলকে রেখার ‘বোটা’ (ছেলে, সন্তান-স্নেহে ডাক) ডাক নিয়ে।
রেখা আসলে এভারগ্রিন। তাঁর বয়স হয় না। আজও অ্যাওয়ার্ড শো-তে গেলে ক্যামেরা তাঁর মুখেই বারবার ঘুরে ফিরে আসে। স্টেজে এলে তাঁকে ঘিরে ওঠে করতালি আর চিৎকার। রেখা সম্প্রতি সেলিব্রিটি ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রার পোশাকে ভোগ আরাবিয়ার প্রচ্ছদের জন্য ফোটোশ্যুট করেছেন। মণীশ জানান, তিনি বরাবরই রেখা আর শ্রীদেবীর বড় ভক্ত। রেখাকে নিজের পোশাকে ফোটোশ্যুট করানোর ইচ্ছেও বহুদিন ধরেই রয়েছে তাঁর মনে। তবে এই কাজের জন্য রেখা একটি শর্ত রেখেছিলেন। মণীশের কথায়, ‘তিনিও কাজটি করতে আগ্রহী ছিলেন খুব। তবে শর্ত ছিল তিনি কেমন মানুষ ছিলেন আর বর্তমানে তিনি কেমন তাই ফুটিয়ে তুলতে হবে।’
ভোগ আরাবিয়ার এই কভার শ্যুটে রেখাকে দেখে অনেকেই যেন নতুন করে প্রেমে পড়েছেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর। জানান, ‘এর পুরো কৃতিত্ব কিন্তু রেখার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে পারেন তিনি। একটার পর একটা কাপড় ট্রাই করে গিয়েছেন। যখনই আলোচনা হয়েছে উৎসাহের সঙ্গে তাতে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।’
সঙ্গে জুড়ে দেন, ‘আমি তো রেখাজিকে সবসময় বলি আপনার গলার স্বর এত সুন্দর, এত প্রলুব্ধ করে সকলকে, সবাইকে সবসময় এরকম বেটা বেটা বলে ডাকবেন না।’
খবর রয়েছে, পোশাক ডিজাইনার খুব জলদিই পা রাখতে চলেছেন বলিউডে পরিচালক হিসেবে। মীনা কুমারীর উপর একটি বায়োপিক তৈরি করবেন, যেখানে প্রধান ভূমিকায় থাকবেন কৃতি শ্যানন। বলিউডের ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মীনা। তবে এই বায়োপিক নিয়ে আপত্তি তুললেন তাঁরই পালিত ছেলে তাজদার আমরোহি। যিনি বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির কিছু মানুষ দেউলিয়া ও চোর হয়ে উঠছে দিনদিন। তাদের কোনও অধিকার নেই অসভ্যের মতো আমার এলাকায় হঠাৎ ঢুকে পড়ার। বাবা ২৯ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। ছোট মা (মীনা কুমারী) তারও আগে। কিন্তু আজও তাঁরা দর্শকের মননে থেকে গিয়েছেন। সেই ভাবমূর্তিকে নষ্ট হতে আমি দেব না। আমি জানি ওঁদের দাম্পত্য জীবনের সত্য কী। বাবার সঙ্গে ছোট মায়ের বিয়ে হওয়ার পরে তাঁর কেরিয়ারে আরও উন্নতি হয়। ইন্ডাস্ট্রির বাকিদের মতো ওরা কোনওদিন লুকোচুরি করে প্রেম করেনি।’
For all the latest entertainment News Click Here