সল্টের ঝোড়ো ইনিংসে ইংল্যান্ডের জয়, পাকিস্তানের ক্ষতে নুনের ছিটে দিয়ে হল বড় নজির
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মহম্মদ রিজওয়ান এবং হ্যারিস রউফকে মাঠে নামাননি বাবর আজমরা। ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগের দুই স্তম্ভকে ছাড়া লড়াই চালাতে গিয়ে রীতিমতো ল্যাজেগোবরে হয় পাকিস্তান। তারা শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের কাছে গোহারান হেরে মাঠ ছাড়ে। আর ব্রিটিশরা গড়ে ফেলে নজির।
দ্বিতীয় দল হিসেবে ১৭০ বা তার বেশি রান দ্রুত তাড়া করে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। অর্থাৎ দ্বিতীয় দল হিসেবে বেশি বল বাকি রেখে ম্যাচ জিতে নজির গড়ে ব্রিটিশরা। শুক্রবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড ৩৩ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে। আর এটা সম্ভব হয়েছে ফিল সল্টের ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যে।
এই তালিকায় ইংল্যান্ডের উপরে অর্থাৎ শীর্ষে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। ২০১৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯০ রান তাড়া করতে নেমে ৩৭ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল তারা। তিনে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৬ সালে ৩২ বল বাকি থাকতে ১৭২ রান তাড়া করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আবার ২৫ বল বাকি থাকতে ১৭০ রান তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকা আবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ২৪ বল বাকি থাকতে ১৭৪ রান
আরও পড়ুন: ৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাবে ভারত, দেখে নিন প্রস্তুতি ম্যাচ সহ ভারতের WC সূচি
লাহোরে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। রিজওয়ানের অনুপস্থিতিতে ব্যাট হাতে দলকে নির্ভরতা দেন বাবর আজম। তিনি অধিনাকোচিত হাফ-সেঞ্চুরির পাশাপাশি ব্যক্তিগত রেকর্ডও গড়েন। তবে তাঁর দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৯ রানে আটকে যায়।
বাবর ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি বিরাট কোহলির সঙ্গে যুগ্ম ভাবে সব থেকে কম ইনিংসে ৩ হাজার রানের মাইলস্টোন টপকানোর বিশ্বরেকর্ডও গড়েন।
এছাড়া মহম্মদ হ্যারিস ৭, শান মাসুদ ০, হায়দার আলি ১৮, ইফতিকার আহমেদ ৩১, আসিফ আলি ৯ ও মহম্মদ নওয়াজ ১২ রান করেন। ডেভিড উইলি এবং স্যাম কারান ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন রিস টপলি ও রিচার্ড গ্লিসন।
আরও পড়ুন: কোহলির ভুলে DRS নষ্ট, ভাইরাল বিরাটের প্রতিক্রিয়া
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড মাত্র ১৪.৩ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭০ রান সংগ্রহ করে নেয়। মাত্র ১৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ফিল সল্ট। তিনি শেষ পর্যন্ত ৮৮ রান করে নট-আউট থাকেন। ৪১ বলের ধ্বংসাত্মক ইনিংসে তিনি ১৩টি চার এবং ৩টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া অ্যালেক্স হেলস ২৭, ডেভিড মালান ২৬ এবং বেন ডাকেট অপরাজিত ২৬ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে ২টি উইকেটই নেন শাদব খান। বাকি বোলাররা সকলেই যথেচ্ছ মার খান ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানদের হাতে। ৩৩ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-৩ সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। স্বাভাবিক ভাবেই রবিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটি ফাইনালের পরিণত হয়ে গিয়েছে।
For all the latest Sports News Click Here