‘সলমন খানকে খুন করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য, নিরাপত্তা কমালেই হত্যা করব’
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই জেলে বসেই দিলেন সলমন খানকে ফের হুমকি। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন ‘সলমন খানকে হত্যা’ করাই তাঁর জীবনের লক্ষ্য। সঙ্গে দেশের এই সুপারস্টারকে পঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালার সঙ্গেও তুলনা করেন। বলেন, ‘অহংকার ওদের রাবণের চেয়েও বড়’। দিনকয়েক আগেই এই গ্যাংস্টার সাফ জানিয়ে দেন সলমন প্রকাশ্যে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেই এই ঘটনার নিষ্পত্তি হবে।
কারাগারে বসেই এই সাক্ষাৎকারটি দেন বিষ্ণোই। বলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য হল সলমন খানকে হত্যা করা। সলমন খানের নিরাপত্তা সরিয়ে দিলেই আমি তাকে হত্যা করব। সলমন খানকে ক্ষমা চাইতে হবে। তার বিকানেরে আমাদের মন্দিরে যাওয়া উচিত এবং ক্ষমা প্রার্থণা করা উচিত।’
‘যদি তিনি (সলমন) ক্ষমা চান, তাহলে বিষয়টি শেষ হয়ে যাবে। আসলে সলমন অহংকারী, মুসেওয়ালাও এমন ছিলেন। সলমন খানের অহং রাবণের চেয়েও বড়।’, নিজের কথায় জুড়ে দেন লরেন্স।
এর আগে লরেন্স বিষ্ণোই দাবি করেছিলেন, তাঁকে অর্থ দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল সলমন খানের তরফে। তিনি তখন জানান, ‘সলমন খানকে নিয়ে আমাদের সমাজে ক্ষোভ রয়েছে। সে আমার সমাজকে অপমান করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও সে ক্ষমা চয়নি। যদি সে ক্ষমা না চায়, তাহলে পরিণতি ভোগ করতে প্রস্তুত থাকুক। আমি অন্য কারো উপর নির্ভর করব না। ছোটবেলা থেকেই ওর জন্য আমার মনে রাগ। তার উচিত আমাদের দেবতার মন্দিরে এসে ক্ষমা চাওয়া। আমাদের সমাজ যদি ওকে ক্ষমা করে তাহলে আমি কিছু বলব না।’
কেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেট সলমন খান?
পিছিয়ে যেতে হবে দু দশক। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য হয় কৃষ্ণসার হরিণ। কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষকর্তা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অংশ লরেন্স। ১৯৯৮ সালে সলমন খানের উপর যোদপুরে ফিল্মের শ্যুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল ভাইজান। এর আগে বেশ কয়েকবার সলমন খানকে শার্প শ্যুটার দিয়ে হত্যার ছক কষেছে লরেন্স বিষ্ণোই। ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে যে জানিয়েছিল, ‘যোদপুরে সলমন খানকে আমরা হত্যা করব’।
২০২২ সালের ২৯ মে প্রকাশ্য দিবালোকে মাঝ রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন সিধু মুসেওয়ালা। যার দায় নিয়েছিল কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার, যিনি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। এর কদিন পরেই সকালে হাঁটতে বেরিয়ে হুমকি চিঠি পান সলমন খান। যেখানে তাঁকে ও তাঁর বাবা সেলিম খানকে সিধুর মতোই মেরে ফেলার কথা বলা হয়েছিল। এরপর বাড়ানো হয় নিরাপত্তা সলমনের। এমনকী, বন্দুক সঙ্গে রাখার অনুমতিও পান তিনি। গাড়ির কাচও বদলে বুলেটপ্রুফ করে নেন ভাইজান।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest entertainment News Click Here