সলমনের মানহানির আবেদন খারিজ, প্রতিবেশীর ‘মৃতদেহ পোঁতা আছে’ অভিযোগ কি সত্যি তবে!
বলিউড অভিনেতা সলমন খান আর আইনি ঝামেলা যেন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। বহুবার বহু অভিযোগ উঠেছে তাঁর নামে। সম্প্রতি সলমন খানের প্রতিবেশী কেতন কক্কর তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। এরপর সলমন খানকেও প্রতিবেশীকে জবাব দিতে দেখা যায়। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন অভিনেতা। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মুম্বইয়ের আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কেতন কক্করের কাছের প্রমাণগুলি সঠিক। তাই ধাপে টিকছে না মানহানির মামলা।
প্রসঙ্গত কেতন কক্কর একজন এনআরআই এবং তার বাড়ি সলমন খানের পানভেল ফার্মহাউসের পাশেই। কেতন তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে সলমান খানকে নিশানা করেছিলেন মাসকয়েক আগে। সলমনের ফার্মহাউজ নিয়ে কিছু অবিশ্বাস্য অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
তারপর সেই মামলায় সলমন খানের আইনজীবী প্রদীপ গান্ধী জানান, কেতন অভিনেতার খামারবাড়ির পাশে জমি নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। জমির লেনদেন অবৈধ হওয়ায় বারবার বাতিল করা হয়েছে তা। তার জেরেই সালমান খান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলতে শুরু করেন।
এদিকে কেতন কক্করের আইনজীবী স্পষ্ট করেছেন যে, কেতন অবসরের পরে পানভেলে থাকতে চান। তিনি ১৯৯৬ সালে জমিটি নিয়েছিলেন। আইনজীবীর দাবি, গত ৭-৮ বছর ধরে সলমান ও তাঁর পরিবার কেতনের জমিতে নিজেদের অধিকার দাবি করে আসছে।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে সলমনের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন কেতন। যেখানে তাঁকে ‘ডি গ্যাং’র মুখ বলা হয়েছে, তাঁর ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সলমনের ঘনিষ্ঠ আঁতাত নিয়েও কথা বলা হয়েছে। সঙ্গে অভিযোগ আনা হয়েছে শিশু পাচার ও ফার্মভিলের জমিতে বলি অভিনেতাদের মৃতদেহ পুঁতে রাখা নিয়েও।
For all the latest entertainment News Click Here