সব বাঙালি ফুটবলার নিয়ে ট্রফি জিতেছি- জাতীয় গেমসে সাফল্যের পর হুঙ্কার বিশ্বজিতের
সন্তোষের বদলা জাতীয় গেমসে নিল বাংলা ফুটবল টিম। ফাইনালে কেরলকে হারিয়ে কাঙ্খিত খেতাব জিতল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের ছেলেরা। প্রতিপক্ষকে পাঁচ গোলের মালা পরিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বদলার তৃপ্তি আর সাফল্যের মালা পর মাঠ ছাড়েন বাংলার ছেলেরা।
মঙ্গলবার জাতীয় গেমসের ফাইনাল ম্যাচটি এক প্রকার প্রতিশোধের মঞ্চ হয়ে উঠেছিল বাংলার ফুটবল দলের কাছে। কেরলের কাছে হেরে সন্তোষের আসরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বাংলাকে। তবে গুজরাটের মাটিতে সেই বদলা পূরণ করলেন নরহরি শ্রেষ্ঠারা।
আরও পড়ুন: ISL-এর ম্যাচে আলো নিভল যুবভারতীর, আয়োজক ATK MB-কে দায়ী করে শো-কজ রাজ্য সরকারের
আর বাংলাকে সাফল্য এনে দিয়েই বিশ্বজিতের হুঙ্কার, ‘এই ম্যাচে সব বাঙালি ফুটবলার ছিল। কারণ এটা বাংলার দল। অন্য রাজ্য কিংবা অবাঙালি ছেলেদের নিয়ে দল গড়া হয়নি। কারণ আমি কিছু মানুষদের জবাব দিতে চেয়েছিলাম।’
বিশ্বজিৎ আরও বলেছেন, ‘আমি ছেলেদের জন্য কতটা গর্বিত সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। কেরালার বিরুদ্ধে নামার অনেক আগে থেকেই ছেলেদের মারাত্মক উজ্জীবিত ছিল। আমার ধারণা কয়েক মাস সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে হারের জ্বালা ওরা ভুলতে পারেনি। এই গরমে একদম পারফেক্ট ফুটবল খেলেছে।’
অধিনায়ক নরহরি শ্রেষ্টা ও তাঁর হ্যাটট্রিক প্রসঙ্গে তিন প্রধানে কোচিং করানো বিশ্বজিতের দাবি, ‘অসাধারণ ফুটবলার। দারুণ টিম ম্যান। কলকাতা লিগে নরহরি সর্বোচ্চ গোল স্কোরার। তাই জাতীয় গেমসে যে ও দুরন্ত ফুটবল খেলবে সেটা নিয়ে নতুন করে তো কিছু বলার নেই। নরহরি আমাদের দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার।’
আরও পড়ুন: রক্ষণে প্রচুর গলদ, কেরালার কাছে ৩-১ গোলে হেরে ISL অভিযান শুরু ইস্টবেঙ্গলের
ফুটবলার হিসেবে বিশ্বজিৎ একাধিকবার জাতীয় গেমসে সোনা জিতেছেন। এ বার কোচ হিসেবে সোনা জিতলেন। বৃত্ত সম্পূর্ণ হল? বাংলার কোচের দাবি, ‘ফুটবলার হিসেবে কেরিয়ারে ১১বার জাতীয় গেমস খেলে নয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এরপর থেকে আমাদের পারফরম্যান্স মোটেও ভালো ছিল না। ১৯৯৪ সালের ২০১১, এরপর এবার সোনা জিতলাম। ভাবতে পারছেন আমরা কতটা পিছিয়ে গিয়েছি। অনেক কম সময়ের মধ্যে দল গড়া একেবারেই সহজ ছিল না। প্রিমিয়ার ডিভিশনের ৩০ জন ফুটবলারকে ট্রায়ালে ডাকা হয়। অনেক নতুন, অচেনা মুখ। কল্যাণীতে মাত্র ৭ দিনের ট্রায়াল। ৩০ জন থেকে ২০ জনের মূল দল বেছে নেওয়া হয় জাতীয় গেমসের জন্য। মাত্র সাত দিনের প্রস্তুতি সেরে জাতীয় স্তরের একটি প্রতিযোগিতা খেলতে এসেছিলাম। তাই এবারের জয় আমাকে আলাদা তৃপ্তি দিয়েছে।’
তবে বিশ্বজিতের আফসোস, ‘তিন প্রধানে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু ওরা আমাকে মর্যাদা দেয়নি। সেগুলো আর মনে রাখতে চাই না। আইএফএ-এর সচিব অনির্বাণ দত্ত আমাকে যোগ্য মনে করেছেন। দায়িত্ব দিয়েছেন। ছেলেরা নিজেদের উজাড় করে পারফর্ম করেছে। এবং আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এটাই তো আমার কাছে বড় পাওনা।’
For all the latest Sports News Click Here