‘সবটাই পাবলিসিটি?’, মুখে জিতুকে ডিভোর্সের কথা, হাতে শাঁখা-পলা! বিতর্কে নবনীতা
জিতু কমল আর নবনীতা দাসের মধ্যে ডিভোর্সের খবর নিয়ে জল্পনা-কল্পনা যেন থামার নামই নিচ্ছে না। ঘটা করে একদিন ফেসবুকে বিচ্ছেদের ঘোষণা করে দেন নবনীতা। লম্বা পোস্টে লেখেন, ‘টেবিলে আর দুটো করে প্লেট থাকবে না… একজনের জন্য বানানো গ্রিন টি আর দুজনে মিলে ভাগ করে খাওয়া হবে না… টাওয়াল শেয়ার হবেনা, সানস্ক্রিন ভাগাভাগি হবে না.… কিছুই আর একসাথে হবে না…আমরা দুজন দুজনের সাথে ভালো নেই…..প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক… ভালো থেকো জিতু কমল।’ যা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেন অনেকেই।
নবনীতা সেই সময় জানিয়েছিলেন, তিনি আর জিতু একই ইন্ডাস্ট্রি থেকে হওয়ায় অনেকেই তাঁর কাছে বারংবার তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন। তাঁর সঙ্গে দেখা হলে, জিতু কেমন আছে জানতে চান। কিন্তু নবনীতা যেহেতু মাসখানেক ধরেই আলাদা থাকছিলেন স্বামীর থেকে তাই বুঝে উঠতে পারই সকলকে জানিয়ে দেবেন।
তবে জিতু-র পোস্ট কিন্তু বারবারই অন্য কথা বলছে। নবনীতা বিচ্ছেদের ঘোষণার পর তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘তোমায় আগেও সামলেছি বাচ্চা বউ। পরেও সামলাব।’ এরপর বারবার তাঁর পোস্ট থেকে আভাস মিলছে যেন সবটা ঠিক করে নিতে চান তিনি।
এদিকে রবিবার নিজের একটি ছবি অন্তর্জালে পোস্ট করেন নবনীতা। পরনে নীল শাড়ি। তবে সবচেয়ে যা চোখ টানছে তা হল হাতে থাকা শাঁখা-পলা। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। যখন ডিভোর্সেরই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, তখন শাঁখা-পলা পরে ছবি পোস্ট করার অর্থ কী!
একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘তোমরা আগে নিজেদের মধ্যে ঠিক করো কি চাও। এভাবে বারবার ফেসবুকে লোক না হাসানোই ভালো। এতে নিজেদেরকেই ছোট করা হয়।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘বিয়ে ভাঙার জন্য অনেক বড় বড় কারণ লাগে। জানি না তোমার জীবনে তা এসেছে কি না। কিন্তু কেন জানি না মনে হয়, তুমিই নিজেই বুঝে উঠতে পারছ না কী করতে চাইছ।’ যদিও এই শাড়ি পরে নবনীতা এর আগেও ধরা দিয়েছেন ফেসবুকে। হয়তো পুরনো ছবি শেয়ার করার শখই কোনও কারণে মনে জেগেছিল!
মাঝে জিতু-নবনীতার সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে জড়িয়েছিল শ্রাবন্তীর নাম। আসলে এসকে মুভিজের প্রযোজনায় শ্রাবন্তীর সঙ্গে ‘আমি আমার মতো’ ছবিতে কাজ করতে চলেছেন জিতু। আর মাস কয়েক আগেই লন্ডনে ‘বাবুসোনা’ ছবির শ্যুটিং সেরেছেন। ফেসবুক লাইভে এসে জোর গলায় তা নিয়ে প্রতিবাদও করেছিলেন নবনীতা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এটা আমার আর জিতুর মিউচুয়াল ডিসিশন, আমাদের সম্পর্ক ভাঙার জন্য তৃতীয় ব্যক্তির কোনওরকম হাত নেই। জিতুর সঙ্গে অন্য সহ-অভিনেত্রীর নাম জড়ানো হচ্ছে। অনেক জায়গাতেই শ্রাবন্তীদিকে নিয়ে আমি জিতুর নাম জড়াতে দেখছি, কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। এগুলো একদম ঠিক নয়। আমি এতে আশাহত হয়েছি। শ্রাবন্তীদির সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক।’
২০১৯ সালের ৬ই মে অগ্নি সাক্ষী রেখে নবনীতাকে বিয়ে করেছিলেন জিতু। কিন্তু চার বছর যেতে না যেতেই ছন্দপতন। জানা যাচ্ছে, মাস তিনেকের বেশি সময় ধরে তাঁরা আলাদাই আছেন। সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ হাতে এসে যাবে ডিভোর্সের কাগজপত্রও। নেট-নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই তার আগে ‘আরও একবার’ ভেবে দেখার পরামর্শ দিলেন ‘বিয়ের ফুল’-এর নায়িকা নবনীতাকে।
For all the latest entertainment News Click Here