সতীশ কৌশিকের বাংলার প্রতি ভালোবাসার কথা জানালেন ঋতুপর্ণা
মাত্র ৬৬ বছর বয়সে বলিউডি অভিনেতা তথা পরিচালক সতীশ কৌশিকের জীবনাবসান হল। তাঁর অকাল প্রয়াণ সকলকেই শকে নিয়ে গিয়েছে। অনেকেই মানতে পারছেন না তাঁর চলে যাওয়াটা। তেমনই একজন হলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
সতীশ কৌশিকের সঙ্গে একাধিক প্রজেক্টে কাজ করেছেন এই বঙ্গতনয়া। তাঁরা একত্রে গৌরী, মিত্তল ভার্সেস মিত্তল ছবিতে কাজ করেছিলেন। মিস্টার ইন্ডিয়ার ক্যালেন্ডারের চলে যাওয়ায় অত্যন্ত আঘাত পেয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি শোক প্রকাশ করেছেন।
ইটাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘একজন ভালো পারফরমারকে হারালাম আমরা। ভীষণ খারাপ লাগছে। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। আমরা ওঁকে ভীষণই মিস করব।’
তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, ‘উনি একজন ভীষণ ভালো মানুষ ছিলেন। আমার সঙ্গে ওঁর কলকাতাতেও দেখা হয়েছে কয়েকবার। আমরা একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছিলাম। যেমন গৌরী দ্য আনবর্ন, মিত্তল ভার্সেস মিত্তল, আঘা, ইত্যাদি। উনি একজন ভীষণ ভার্সেটাইল অভিনেতা ছিলেন। আমরা তো ওঁকে মিস্টার ইন্ডিয়ার ক্যালেন্ডার হিসেবে দেখেই বড় হয়েছি। পরিচালক হিসেবেও তিনি অনবদ্য ছিলেন। যদিও ওঁর সঙ্গে আমার খুব কম কথা হতো। কিন্তু যখনই হতো উনি আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাতেন। উনি আমার কটি বাংলার ছবির বিষয়েও মতামত জানিয়েছিলেন, প্রশংসা করেছিলেন। আমার সঙ্গে দেখা হলেই উনি একটা দুটো বাংলা কথা বলার চেষ্টা করতেন।’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সহকর্মী হিসেবে উনি একজন অত্যন্ত বিনয়ী এবং সদাহাস্য মানুষ ছিলেন। আমি ভীষণই আঘাত পেয়েছি ওঁর চলে যাওয়ায়।’
হোলি উপলক্ষ্যে দিল্লি গিয়েছিলেন সতীশ কৌশিক। সেখানে গিয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এবং গুরুগ্রামের একটি হাসপাতালের দিকে তখনই তিনি রওনা দেন। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তাঁকে মৃত হিসেবে ঘোষণা করে দেন চিকিৎসকরা। পরে রিপোর্ট থেক জানা যায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বইতে তাঁর শেষ যাত্রা এবং অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হয়।
For all the latest entertainment News Click Here