সচিনের থেকে প্রথমবার ‘মা’ ডাক শোনার দিনটি কোনও দিন ভুলবেন না, জানিয়েছিলেন লতা
রবিবার সকালেই এল সেই চরম দু:সংবাদ। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন লতা মঙ্গেশকর। ৯২ বছর বয়স হয়েছিল মৃত্যুর সময়। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোভিড নেগেটিভ এলেও করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতা ঘিরে ধরেছিল তাঁকে।
লতা মঙ্গেশকরের সুরের মূর্ছনায় বুঁদ থেকেছে গোটা দেশ। তবে আজীবন কুমারী থেকেছেন লতা। তবে বিয়ে না করলেও সুরসম্রাজ্ঞীকে ঘিরে রেখেছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব এবং অসংখ্য ভক্তের দল। অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর এবং তাঁর পরিবার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল প্রয়াতা সুরসম্রাজ্ঞীর। অনেকেই জানেন না শ্রদ্ধাদের পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল লতার। সচিন তেন্ডুলকরকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন লতা। শুধু ভালোবাসতেন বলে কিছুই বলা হয় না। ‘মাস্টার ব্লাস্টার’-কে নিজের পুত্রবৎ স্নেহ করতেন তিনি। এবং সেকথা একাধিকবার প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন তিনি।
লতাকে ‘মা’ বলে ডাকতেন সচিন। এ প্রসঙ্গে একবার সংবাদমাধ্যমকে লতা বলেছিলেন, ‘সচিন আমাকে তাঁর মায়ের মতোই ভালোবাসে, সম্মান করে। আর আমিও সচিনকে নিজের ছেলের মতোই দেখি। একজন মা যেমন তাঁর ছেলের জন্য প্রার্থনা করেন, ওঁর জন্য আমিও ঠিক তেমনটাই করি। সচিন যেদিন আমাকে ‘মা’ বলে ডেকেছিল, সেইদিনটি আমি কোনওদিনও ভুলব না। আমি কোনওদিনই ভাবতে পারিনি ওঁর থেকে এই ডাক শুনতে পারব। যেমন চমকে গিয়েছিলাম, তেমন আনন্দও পেয়েছিলাম। এটুকু বলব ওঁর মতো ছেলে পেয়ে আমি ধন্য।’
এখানেই শেষ নয়। সচিনকে ভারতরত্ন দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন লতা। ক্রিকেটীয় কিংবদন্তির ভারতরত্ন খেতাব পাওয়ার বছর ১২ আগেই এ প্রসঙ্গে লতা বলেছিলেন, ‘আমার কাছে, বহু বছর ধরেই সচিন-ই আসল ভারতরত্ন। দেশের জন্য ও যা করেছে, তা খুব কম মানুষই করতে পেরেছেন। ভারতরত্ন সম্মান পাওয়ার যোগ্য দাবিদার সচিন। আমাদের সকলকে ও গর্বিত করেছে।’
For all the latest entertainment News Click Here