সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ, আদালতের নির্দেশে সমীরের লড়াই কি আরও কঠিন হল
আরিয়ান খান মাদক মামলায় ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে NCB-র প্রাক্তন আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় সমীরের অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ ৮ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল বম্বে হাইকোর্ট। তবে বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি অভয় আহুজা এবং এমএম সাথয়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ সমীরের সামনে বেশ কিছু শর্ত রেখেছে।
কী সেই শর্তগুলি?
সেগুলির মধ্যে রয়েছে, ১) হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও মাধ্যমে ব্যবহার হওয়া নথি, যা কি না পিটিশন বা তদন্তের বিষয়বস্তু, তা কোনওভাবেই প্রকাশ করা যাবে না। ২) প্রেস বিবৃতি দেওয়া যাবে না। ৩) তিনি কোনও ভাবেই কোনও প্রমাণ যেন লোপাটের চেষ্টা না করেন।
শুধু তাই নয়, এই শর্তগুলি মেনে আদালতে একটি হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমীর ওয়াংখেড়েকে। প্রসঙ্গত, আরিয়ান খান মাদক মামলায় শাহরুখ খানের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন সামনে আনেন সমীর ওয়াংখেড়ে। আর সে কারণেই আদালত তাঁর উপর এই শর্তগুলি চাপিয়েছে। এর আগে আদালত ওয়াংখেড়ের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়েছিল। বোম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে বলে, ‘বিষয়টি যখন বিচারাধীন, তখন চ্যাটগুলি প্রকাশ করার দরকার কী ছিল? আপনি যখন নিজেই এই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তখন আপনি সংবাদমাধ্যমের কাছে কেন গেলেন?’
এদিকে সিবিআই পক্ষের আইনজীবী অবশ্য ওয়াংখেড়েকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ না দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। তবে উভয়পক্ষের যুক্তি শুনে ১৯ মে পর্যন্ত দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ ৮ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রসঙ্গত, সিবিআই সমীর ওয়াংখেড়ে বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৭ (ঘুষ), ৭এ (বেআইনি উপায়ে সরকারী কর্মচারীকে প্রভাবিত করার অযাচিত সুবিধা) এবং ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং ৩৮৮-সহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১২ (প্ররোচনা) নম্বর ধারায় এফআইআর দায়ের করে।
সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে আরিয়ান খান মাদক মামলায় ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ তিনি আরিয়ানের নাম সরাতে শাহরুখের থেকে প্রথমে ২৫ কোটি, পরে ১৮ কোটি টাকা দাবি করেন। এই মামলায় গত রবিবার, ২১ মে সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন সমীর। এদিন তাঁকে দ্বিতীয়বারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে গত শনিবার, ২০ মে টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে।
For all the latest entertainment News Click Here