শ্রীজাতর সর্বনাশ করেছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়! প্রকাশ্যে হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গলেন কবি
ছিলেন তিনি কবি। এখনও আছেন। লিখেছেন একাধিক জনপ্রিয় উপন্যাস। বর্তমানে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ছবি পরিচালনার। রানা সরকার প্রযোজিত সেই ছবির নাম ‘মানবজমিন’। মাঝখানে বড়পর্দায় অভিনেতা হিসেবে মুখও একবার দেখিয়ে ফেলেছেন তিনি। ‘তিনি’ অর্থাৎ কবি শ্রীজাত। বর্তমান সময়ের বাংলা ভাষায় অন্যতম শক্তিশালী ও জনপ্রিয় কবি। তবে তিনি যে আর পর্দায় অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের সামনে আসবেন না একথা প্রায় পাকা, নিজের মুখেই সেকথা এক সাক্ষাৎকারে জানালেন শ্রীজাত।
কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিলেন কবি? আনন্দবাজারকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে শ্রীজাত জানান সিনেমা তাঁর দুর্দান্ত প্রিয় এবং বর্তমানে পরিচালকের আসনে বসলেও অভিনয়ে ঠিক অতটাও আগ্রহী নন তিনি। তাহলে যে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘জুলফিকর’-এ খল চরিত্র ত্রিভুবন গুপ্তের ভূমিকায় দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছিলেন তিনি ? হাসতে হাসতে মজার সুরে ‘তারাভরা আকাশের নীচে’-র লেখকের জবাব, ‘বন্ধুরাই আমার সর্বনাশ করেছে। এঁদের মধ্যেই একজন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ওই ছবিতে যা অভিনয় করেছি, যে যে দৃশ্যজুড়ে পর্দায় রয়েছি তা দেখা যায় না! একেবারেই খারাপ কাজ করেছি। সৃজিত অবশ্য নিজেরও সর্বনাশ করেছে আমাকে ওঁর ছবিতে নিয়ে’।
যদিও শ্রীজাতর সাফাই তিনি বারবার সৃজিতকে সাবধান করেছিলেন। প্রশ্নও তুলেছিলেন নিজের অভিনয়ের যোগ্যতা নিয়ে। তবু সৃজিত নাকি বদ্ধপরিকর ছিলেন ‘জুলফিকর’-এ শ্রীজাতকেই চাই তাঁর। দেবে সেই অভিজ্ঞতা যে মোটেই সুখকর নয় শ্রীজাতর জন্য সেকথাই আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন তিনি। এবং তা অবশ্যই ঠাট্টার ভঙ্গিতে। তবে একেবারেই যে আর আশা নেই তা নয়। আসলে শিল্পের নানা অঙ্গনে, বিভিন্ন শাখায় কাজ করতে ইচ্ছুক শ্রীজাত। সেই সুযোগ পেলে দমে না গিয়ে বরং উৎসাহই পান। সেই ভাবনা থেকেই সঞ্চালনা করা বা বিজ্ঞাপনে মুখ দেখানো। ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কবিতার বইয়ের স্রষ্টার কথায়, ‘তেমন কোনও জরুরি প্রয়োজন না হলে আমি আর অভিনয় করব না’।
For all the latest entertainment News Click Here