শ্রীজাতর নির্দেশ, প্রেমিকা দামিনীর সঙ্গে ‘মানবজমিন’-এ এবার শ্রাবন্তী-পুত্র
কবি থেকে পরিচালক। নিজের প্রথম ছবির ঘোষণা করেই চমকে দিয়েছিলেন শ্রীজাত। গত বছর আগস্টে শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানান সমস্যার জেরে সম্প্রতি শুরু হয়েছে শ্রীজাতর পরিচালনায় ‘মানবজমিন’-এর শ্যুটিং। সেখানেও কিন্তু চমকের অভাব নেই। শ্রীজাতর পরিচালনাতেই প্রথমবার টলিপাড়া পাচ্ছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-প্রিয়াঙ্কা সরকারের মতো ফ্রেশ জুটি। তার উপর কবি পত্নী দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিনয় করছেন এই ছবিতে। ‘মানবজমিন’ দূর্বারও অভিনেত্রী হিসেবে বড়পর্দায় ডেবিউ। তবে মানবজমিন’ ঘিরে চমকের শেষ এখানে কিন্তু থেমে থাকেনি। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে ঝিনুক তথা অভিমন্যু চট্টোপাধ্যায় সহকারী পরিচালক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন এই প্রজেক্টে। তবে, তিনি একা নন। সঙ্গে রয়েছে তাঁর প্রেমিকা দামিনী ঘোষ-ও।
‘মানবজমিন’-এর প্রযোজক রানা সরকার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি থেকেই ফাঁস হল গোটা ব্যাপারটি। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে মনিটরে শ্যুটিংয়ের যাবতীয় শট একমনে দেখে চলেছেন পরিচালক শ্রীজাত এবং প্রধান সহ-পরিচালক রাজদীপ ঘোষ। আর তাঁদের সেই কাজ একমনে লক্ষ্য করছেন শ্রাবন্তী-পুত্র। তাঁর পাশে মাস্ক পরে দাঁড়িয়ে দামিনী। অন্যদিকে, দেখা যাচ্ছে ছবির আরও এক সহকারী পরিচালক আয়ুষী-কে। ছবিটির ক্যাপশনে ঝিনুককে স্বাগত জানিয়ে রানা লিখেছেন, ‘নিউ জেনারেশন অন বোর্ড’।
এ প্রসঙ্গে শ্রীজাত জানিয়েছেন, আপাতত পর্যবেক্ষক হিসেবে ঝিনুক এই ছবিতে কাজ করবেন। রানা সরকারকে ফোন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের হাতেই যে ভবিষ্যতের ব্যাটন একথা স্রেফ মুখে না বলে হাতেকলমেও তা বুঝিয়ে দিতে চান তিনি। তাই তাঁর সংস্থায় অভিজ্ঞ, পাকা মাথার পাশাপাশি রয়েছে তরুণ তুর্কিরা। রানার কথায়, ‘দেখুন, নয়া প্রজন্মকে সুযোগ না দিলে ধীরে ধীরে পিছিয়ে যাব। তাল মেলাতে পারব না। স্ক্রিনের এপারে হোক কিংবা ওপারে, আমার সংস্থায় প্রায় সব ক্ষেত্রেই রয়েছে তরুণ-তরুণীরা। ওঁরাই তো ভবিষ্যৎ।’
প্রসঙ্গত, একাধিক সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী জানিয়েছিলেন অভিনয়ের তুলনায় তাঁর ছেলের পরিচালনার দিকেই বেশি ঝোঁক। পরিচালক হিসেবেই পর্দায় নিজের নাম দেখতে তাঁর বেশ আগ্রহ রয়েছে। ক্যামেরার পিছনে দাঁড়ানোই নাকি ঝিনুকের পছন্দের জায়গা।
For all the latest entertainment News Click Here