শৈশবে সংখ্যা চিনতে পারতেন না শেখর কাপুর! ডিসলেক্সিয়ার কারণ কোন সমস্যায় পড়তেন
অন্যান্য একাধিক তারকাদের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অনেকটা সময় কাটাতে দেখা যায় চিত্রপরিচালক শেখর কাপুরকে। নানা বিষয় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন, পোস্ট করেন নানা ভাবনা। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা শিক্ষার কথাও তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তুলে ধরেন। তবে সোমবার, ৮ মে তিনি একদম সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিষয় নিয়ে কথা বললেন। নিজের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের কথা এখানে তিনি তুলে ধরলেন।
শেখর কাপুর একটি টুইট করে এদিন জানান তাঁর ছোটবেলায় পড়াশোনা করতে বেশ সমস্যা হতো। তিনি ঠিক করে অক্ষয় চিনতে পারতেন না। পড়তে পারতেন না। ডিসলেক্সিয়া ছিল তাঁর।
মিস্টার ইন্ডিয়ার পরিচালক তাঁর টুইটে এদিন লেখেন, ‘আমার জীবনের শিক্ষা: আমি সম্পূর্ণ ভাবে ডিসলেক্সিক ছিলাম। এবং আমি দেখেছি বহু শিল্পী, কবি, গায়করাও একই সমস্যায় ভুগতেন। আপনিও কি তাই? আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের সাহায্যে আমার ভিজ্যুয়াল ম্যাথমেটিক্সের উপর এখন আগ্রহ তৈরি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্কুলে আমি অঙ্ককে জমে মতো ভয় পেতাম। আমি সংখ্যা চিনতে পারতাম না ছোটবেলায়।’
তাঁর এই পোস্টে বহু ভক্তরাই নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন যে তাঁরাও এই একই সমস্যার শিকার ছিলেন। অনেকেই আবার তাঁকে বাহবা দিয়েছেন এই সমস্যা কাটিয়ে উঠে এত সুন্দর ক্রিয়েটিভ কাজ কর্ম করার জন্য।
এক টুইটার ব্যবহারকারী তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘স্যার আপনি এই রোগের জন্য যা হারিয়েছেন আপনি সেটাই আপনার ক্রিয়েটিভিটির মাধ্যমে ফিরে পেয়েছেন। কেউ কী করে আপনার বানানো ফুলন দেবী, মিস্টার ইন্ডিয়া, ইত্যাদি ছবির কথা ভুলতে পারেন! আপনি সবসময় একজন প্রকৃত লেজেন্ড থাকবেন।’
২০১৮ সালে শেখর কাপুর প্রথমবার তাঁর এই সমস্যার বিষয়ে কথা বলেন। জানান তাঁর একাগ্রতা ছিল না কোনও। পড়ায় মনোসংযোগ দিতে পারতেন না যা এই ধরনের রোগীদের মধ্যে ভীষণ স্বাভাবিক। তিনি একই সঙ্গে ধন্যবাদ জানান ঈশ্বরকে যে সেই সেই সময়ে (তিনি যখন বড় হয়েছেন) এই ধরনের শিশুদের জন্য কোনও আলাদা স্কুল ছিল না। থাকলে তাঁর মধ্যে যে ক্রিয়েটিভিটি ছিল, যে ছক ভাঙার নেশা ছিল সেটা ওখানেই মরে যেত।’
For all the latest entertainment News Click Here