শেষ ২৯ বলে ১০৩ রান ইমাদ ও ব্রুকসের – শাকিবদের উড়িয়ে CPL ফাইনালে জামাইকা
পাঁচ রানে জীবনদান পেয়েছিলেন। সেই জীবনদানের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করলেন শামারহ ব্রুকস। তাঁর ৫২ বলে অপরাজিত ১০৯ রানের সৌজন্যে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারির্সকে হারিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ফাইনালে চলে গেল জামাইকা তালাওয়াস। ফাইনালে বার্বাডোজ রয়্যালসের বিরুদ্ধে নামবেন ব্রুকসরা। যিনি ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গায়ানা। প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় জামাইকা। আউট হয়ে যান কিনার লুইস। কিছুক্ষণ পর ড্রেসিংরুমে ফিরে যান অপর ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। সেইসময় জামাইকার স্কোর ছিল ২.৫ ওভারে ১৬ রানে দু’উইকেট। তারপর জামাইকার ইনিংসের হাল ধরেন ব্রুকস এবং অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। দু’জনে জামাইকাকে টানতে থাকেন। কিন্তু জুটি জমে ওঠার পর দলগত ৭১ রানের মাথায় আউট হয়ে যান জামাইকার অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: CPL 2022: ৬ বল খেলে ৫ ছক্কা ‘বেবি এবি’-র, ধারেকাছেও যেতে পারলেন না রাসেল, হার নাইটদের
রোভম্যান আউট হলেও মারকুটে ছন্দ ধরে রাখেন ব্রুকস। সঙ্গে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ইমাদ ওয়াসিম। দু’জনের জুটিতে ২৯ বলে ১০৩ রান তোলে জামাইকা। একটা সময় যে জামাইকার পক্ষে ১৮০ রানই অনেকটা বেশি মনে হচ্ছিল, তার নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ২২৬ রান তোলে। ৫২ বলে অপরাজিত ১০৯ রান করেন। যিনি পাঁচ রানে জীবনদান পান। তাঁর ক্যাচ ছাড়েন উইকেটকিপার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। অন্যদিকে, মাত্র ১৫ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন ইমাদ।
জামাইকার বোলারদের মধ্যে সবথেকে বেশি মার খান ওডিয়ান স্মিথ। চার ওভারে ৬৪ রান দেন। শেষের দিকে ব্রুকস এবং ইমাদের বেধড়ক প্রহারে শেষ দুই ওভারেই ৪৩ রান দেন। ২০ তম ওভারে দেন ২৬ রান। ১৯ তম ওভারে রোমারিও শেফার্ড ২৩ রান দেন। তিন ওভারে ৩০ রান দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান।
আরও পড়ুন: CPL 2022- নবির দৌলতে ফ্যাফের সেন্ট লুসিয়া কিংসদের হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জামাইকা তালাওয়াস
সেই বিশাল রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তে ৬২ রান তোলে গায়ানা। সেইসময় তিন উইকেট পড়ে গেলেও গায়ানার অস্ত্রভাণ্ডারে যথেষ্ট বিস্ফোরক ব্যাটার ছিলেন। কিন্তু বুধবার সেভাবে সেই অস্ত্রভাণ্ডার বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেনি। রানরেট ভালো বজায় রাখলেও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকেন শাকিবরা। যিনি মাত্র পাঁচ রান করেই আউট হয়ে যান। একমাত্র কিমো পল (৩৭ বলে ৫৬ রান) ছাড়া কেউ বিশেষভাবে দাগ কাটতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৮৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি গায়ানা। ১.৫ ওভারে ১৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন মহম্মদ আমির। চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন।
For all the latest Sports News Click Here