‘শুধু ৪ ওভারে ৫০ রান দেখলেই হবে না’, বাংলার পেসারকে ভবিষ্যতের তারকা বললেন ইশান্ত
মোটেই ভালো সময় যাচ্ছে না ভারতীয় দলের। তা সে ট্রফি দিকে থেকে হোক বা ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। তবে গত কয়েক মাস ধরে ভারতীয় দলের প্রধান উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে সব ফরম্যাটে জোরে বোলারদের ব্যর্থতা। জোরে বোলারদের মধ্যে জসপ্রীত বুমরাহ চোটের কারণে দলের বাইরে রয়েছেন। এছাড়াও ইশান্ত শর্মাও এখন দলে জায়গা পান না। উমেশ যাদবকেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ইংল্যান্ডে নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। তবে একসময়ের জোরে বোলিং আক্রমণ বিভাগের মধ্যে জাতীয় দলের প্রথম একাদশে নিয়মিতভাবে আছেন মহম্মদ শামি। তবে পরের মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য আপাতত বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাকে। পেস আক্রমণের জন্য মহাম্মদ সিরাজকে বেছে নিয়েছেন নির্বাচকেরা।
বর্তমানে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট নতুন প্রজন্মের জোরে বোলারদের তৈরি করার ওপর বেশি নজর দিচ্ছে। আর এই কঠিন কাজটা করার সময় ভারতের তারকা পেসার ইশান্ত শর্মা বলেন, ভবিষ্যতে কে ভারতীয় দলের জোরে বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিতে পারেন, সেই বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। ইশান্ত শর্মা ইউটিউবার রাবি আলবিদারের একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে তিনজন ফাস্ট বোলারদের নাম উল্লেখ করেন। ইশান্ত মনে করেন তারা দলে থাকলে ভারতীয় দল কিছু করে দেখাতে পারবে। তিনি বলেন,’উমরান মালিক একজন ভালো ক্রিকেটার। ও দলের সঙ্গে থাকলে দীর্ঘ সময় ধরে খেলতে পারবে এবং দল উপকৃত হবে। আরেকজন হল আর্শদীপ সিং।’ এরপর ইশান্ত শর্মা ২৯ বছর বয়সী বাংলার জোরে বোলার মুকেশ কুমারের নাম নেন। যিনি এই বছরের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসে ইশান্তের সতীর্থ ছিলেন।
মুকেশ কুমার এই মরশুমে প্রথমবারের জন্য আইপিএল খেলেন। তবে তিনি টুর্নামেন্ট জুড়ে অনেকটাই বেশি রান দিয়ে ফেলেছেন। ১০ ম্যাচ খেলে সাত উইকেট নেন। তবে তাঁর ইকোনমিক রেট ১০.৫২ । কিন্তু ইশান জোর দিয়েছেন তাঁর বোলিং দক্ষতার উপর। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘মুকেশ কুমারের বিষয়ে অনেকেই অনেক কিছু জানে না। আমি ওর মতো সরল একজন মানুষ কোনওদিন দেখিনি। ওকে যদি শুধু একটা নির্দিষ্ট বল বল করতে বলা হয়, তাহলে ও শুধু সেই বোলিংই করে যাবে। ওকে ঠিকঠাক করে নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন আছে। যখন খেলতে নামে তখন যদি কোনও চাপের পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন জানে না কোন ডেলিভারিতে বল করতে হবে। মুকেশ আইপিএলে কঠিন সময়ে কঠিন ওভারে বল করেছে। ও কোন পরিস্থিতিতে এবং কোন ব্যাটারদের বিরুদ্ধে বল করেছে সেটা কেউ দেখছে না। সবাই দেখছে যে ৫০ রান দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন,’আইপিএলে যখন রাসেল খেলছিল তখন ওর দল আট উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। ওদের হারানোর আর কিছু ছিল না। সেই সময় যদি একটা ইয়র্কার ভুল পড়ে যায়, স্বাভাবিকভাবে ৬ হবেই। এইসব বিষয়গুলি চোখে পড়ে না। ওকে যদি ঠিকঠাক নির্দেশ দেওয়া হয় তাহলে মুকেশ একজন ভালো ফার্স্ট বোলার হয়ে উঠবে।’ আসন্ন ক্যারিবিয়ান সফরে সুযোগ পেয়েছেন মুকেশ। ভারতের জার্সি গায়ে দেখা যায় কিনা এই বঙ্গ পেসারের সেটাই দেখার বিষয়।
For all the latest Sports News Click Here