শুধু ফিটনেস নয়, এই কারণে সুযোগ পাচ্ছেন না সরফরাজ, জানাল BCCI সূত্র
বর্তমানে সরফরাজ খানের জন্য টিম ইন্ডিয়ার জার্সি পাওয়া বেশ কঠিন। ভারতীয় দলে জায়গা পেতে হলে বেশ কিছু বিষয়ে কাজ করতে হবে মুম্বইয়ের ব্যাটাকে। সরফরাজ খান বাদ যাওয়া ইস্যুতে এবার মুখ খুলল বিসিসিআই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সরফরাজ খান বাদ যাওয়ার কারণ গুলো সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। পরের মাসে অর্থাৎ জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গিয়ে টেস্ট, একদিনের ম্যাচ ও টি টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে দুই দল।
এমন পরিস্থিতিতে বিসিসিআই টেস্ট এবং ওডিআইয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়ার দল ঘোষণা করেছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এখনও দল ঘোষণা করা হয়নি। যদিও এবারও সরফরাজ খানকে দলে জায়গা দেয়নি বিসিসিআই-এর নির্বাচক দল। ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রমাগত রান করে যাচ্ছেন সরফরাজ, তবু তাঁকে কেন দলে নেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। এবার বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআই কর্মকর্তার মতে, সরফরাজ খানকে তাঁর ফিটনেসের কারণে নয়, তার মাঠের বাইরের শৃঙ্খলার কারণে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তবে, এখন যদি সরফরাজকে টিম ইন্ডিয়াতে জায়গা করে নিতে হয়, তবে তাকে ফিটনেসের পাশাপাশি মাঠের বাইরে শৃঙ্খলার দিকেও নজর দিতে হবে। বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘আমি আপনাকে কিছুটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে ক্রিকেটই একমাত্র কারণ নয়, যে জন্য সরফরাজকে বারবার বাদ দেওয়া হয়েছে। তার নাম বিবেচনা না করার অনেক কারণ রয়েছে। একটানা মরশুমে ৯০০ -র বেশি রান করার পরে একজন খেলোয়াড়কে নির্বাচকরা কেন বিবেচনা করবেন না, তাঁরা কি বোকা? তাঁকে বাদ দেওয়ার একটি কারণ তাঁর ফিটনেস যা আন্তর্জাতিক মানের নয়। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, সম্ভবত ওজন কমাতে হবে এবং চর্বিহীন এবং ফিট হয়ে ফিরে আসতে হবে, কারণ একা ব্যাটিং ফিটনেসই একমাত্র নির্বাচনের মাপকাঠি নয়।’
বিসিসিআই কর্মকর্তার মতে, শুধু ফিটনেসের কারণেই তাঁকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না, এর পিছনে রয়েছে আরও কারণ। তিনি বলেন, ‘মাঠের ভিতরে এবং বাইরে তাঁর আচরণ মোটেও শীর্ষস্থানীয় নয়। কিছু কথা বলা হয়েছে, কিছু অঙ্গভঙ্গি করা হয়েছে এবং কিছু ঘটনা নোট করা হয়েছে। তাঁকে একটু ভালো ভাবে আচরণ করতে হবে এবং সুশৃঙ্খল হতে হবে। আশা করি সরফরাজও এটা করবেন। তাঁর বাবা এবং কোচ নওশাদ খানের সঙ্গে এই দিকগুলি নিয়ে কাজ করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মায়াঙ্ক আগরওয়াল যখন ভারতীয় টেস্ট দলে আসেন, তিনি এক মাসে ১০০০ প্রথম-শ্রেণির রান করেছিলেন। এমএসকে প্রসাদের কমিটি কি তার আইপিএল শংসাপত্র পরীক্ষা করেছিলেন? হনুমা বিহারির জন্য একই রকম হয়েছিল। তাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেট এবং এ দলের পারফরমেন্সের মাধ্যমে এসেছিলেন। যদি তাঁর আইপিএল এবং হোয়াইট-বল রেকর্ডের তদন্ত না করা হয় তবে এসএস দাসের কমিটি কেন এমনটা করবে? আসল কারণটা কিন্তু ক্রিকেট নয়।’
For all the latest Sports News Click Here