শুক্রবারের মধ্যে জামিন না পেলে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে আরিয়ানকে!
শাহরুখ খানের জন্মদিন, দিওয়ালি সেলিব্রেশন- কোনটাই কি এবছর পালিত হবে না মন্নতে? সবটাই নির্ভর করছে বম্বে হাই কোর্টের উপর। তবে সময় আর খুব বেশি হাতে নেই আরিয়ান খানের। মঙ্গলাবের পর বুধবারও খুব বেশি দূর এগোল না আরিয়ান খানের জামিনের শুনানির আবেদন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছে এই মামলার শুনানি। এখনও এনসিবির পক্ষ থেকে পালটা জবাব পর্ব শুরুই করা যায়নি। কিন্তু সমস্যা হল যদিও আগামি দু-দিনের মধ্যে আরিয়ানের জামিন আবেদন নিয়ে রায় না দেন বিচারপতি নীতিন সাম্বরে তবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আর্থার রোড জেলেই থাকতে হতে পারে আরিয়ান খানকে!
ভাবছেন কেন? আসলে শনিবার ও রবিবার সপ্তাহান্তের জেরে বন্ধ থাকবে কোর্ট। আর আগামী সপ্তাহে দিওয়ালির ছুটি শুরু হচ্ছে হাই কোর্টে। মহারাষ্ট্রের কোর্টের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ থাকবে ১লা নভেম্বর থেকে ১২ই নভেম্বর পর্যন্ত, তেমনই খবর। এরপর ১৩ ও ১৪ই নভেম্বর ফের শনিবার ও রবিবার। তাই পুনরায় কোর্টের কার্যক্রম শুরু হবে সেই ১৫ই নভেম্বর (সোমবার) থেকে। সুতরাং বৃহস্পতিবার এনসিবির তরফে ঠিক কী দলিল আদালতের সামনে রাখবেন এএসজি অনিল সিং সেই দিকে তাকিয়ে সকলে।
আরিয়ান-আরবাজদের আইনজীবীদের ফৌজরা কোর্টে দু-দিন ধরে দলিল রাখলেন মক্কেলদের তরফে। বুধবার আরবাজ মার্চেন্টের আইনজীবী অমিত দেশাই (নিম্ন আদালতে ইনি আরিয়ানের হয়ে লড়েন) এদিন দুই বন্ধুর হয়ে সওয়াল করে বলেন, যে দোষের জন্য সর্বোচ্চ সাজা এক বছর (মাদক সেবন) তার জন্য বিনা জামিনে এতদিন ধরে ওদের আটকে রাখা অনুচিত। এমন পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যা স্পষ্ট করছে এখানে ষড়যন্ত্রের কোনও প্রশ্নই নেই। আরিয়ানের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানাতে সঠিক এবং উপযুক্ত তথ্য থাকা জরুরি, আমাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে সেটা স্পষ্ট করতে হবে। এখানে সেই নিয়ম মানেনি এনসিবি। তিনি আরও বলেন, আরিয়ানের গ্রেফতারি পরোয়ানাতে বেশ কিছু জিনিসের উল্লেখ রয়েছে যা তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়নি।
গত ২রা অক্টোবর গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে গ্রেফতার হন আরিয়ান খান। আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ৮(সি), ২০বি (মাদক কেনা), ২৭ (মাদক সেবন), ২৮ (অপরাধের চেষ্টা), ২৯ (ষড়যন্ত্র) এবং ৩৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনসিবি। আরবাজ মার্চেন্টের থেকে ৬ গ্রাম এবং মুনমুন ধামেচার থেকে ৫ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছিল এনসিবি।
এর আগে সেশন কোর্টে আরিয়ানের জামিনের বিরোধিতা করে এনসিবির তরফে আদালতকে এএসজি অনিল সিং জানিয়েছিলেন, আরিয়ান খান বহুবছর ধরে নিয়মিত ড্রাগস সেবন করত। ‘ওদের বয়স কম, বাচ্চা ছেলে’, ডিফেন্সের এই যুক্তি এখানে খাটে না, ওরাই তো দেশের ভবিষ্যত’। অনিল সিং আরও জানিয়েছিলেন, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে উঠে এসেছে মাদকচক্রীদের সঙ্গে সরাসরি ড্রাগস কেনাবেচার কথা বলেছে, সেখানে টাকার লেনদেনের কথাও হয়েছে। কোনওভাবেই ওকে ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ দেওয়া যায় না। এখন দেখবার বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে এনসিবির তরফে পালটা জবাবে কতটা জোরালো তথ্য-প্রমাণ পেশ করা হয়।
For all the latest entertainment News Click Here