শিক্ষিকা হলেন মৎস্যকন্যা, স্বপ্ন ছোঁয়ার গল্প বললেন ইতালির নারী
দেশ-দুনিয়াতে কতই না খবর প্রতিমুহূর্তে ভাইরাল হয়। কত আশ্চর্য ঘটনাটার সাক্ষী থাকি আমরা। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, এক শিক্ষিকা তাঁর চাকরি ছেড়ে মৎস্য কন্যা হতে পারে কোন স্বপ্নে ভর করে? হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, ইতালির একজন ৩৩ বছর বয়সী ইংরেজির শিক্ষিকা মৎস্যকন্যা হওয়ার জন্য তার চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, এমনই বলছে যুক্তরাজ্যের মেট্রোর একটি প্রতিবেদন। কোভিড-১৯ মহামারী মানব সভ্যতার পথচলায় গভীর দাগ কেটে গেছে। বহু মানুষের শখ বদলেছে পেশায়। তেমনই লকডাউনের সময় মিস গ্রিন নতুন কোনও শখের সন্ধান করছিলেন এবং স্থানীয় সমুদ্র সৈকতে এক মৎস্যকন্যার দেখা পান। না, মৎস্যকন্যা পুরাণের কোনও চরিত্র নয়। বিশেষ লেজ যুক্ত স্যুট পড়ে সাঁতার কাটছিলেন কেউ। এমন এক অভিনব বিষয় আকৃষ্ট করে তাকে। এভাবেই যেন জীবনকে দেখতে চাইছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের মহিলা গ্রিন তাঁর প্রথমবারের সাঁতার কাটার অভিজ্ঞতাটিকে ‘উচ্ছ্বাসজনক এবং উত্তেজনাপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেন। নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিতে গিয়ে তিনি বলেন, জলের মধ্যে লেজযুক্ত পোশাক পড়ে আরও বেশি প্রকৃতি এবং সমুদ্রের সঙ্গে একাত্ব অনুভব করেন তিনি। মিস গ্রিন জনৈক সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছে, ‘একদিন হঠাৎ সমুদ্র সৈকতে আমি এক রহস্যময় মৎস্যকন্যাকে জল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখলাম, তারপরে সে আবার ডুব দিল, কিন্তু পায়ের পরিবর্তে একটি লেজ বেরিয়ে এলো। এই দৃশ্য সত্যিই রহস্যময় ছিল। নির্জন সৈকতে সেই মুহূর্তে আমি নিজের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেলাম, এই হবিটি আমার জন্য উপযুক্ত। এটি অনেকটাই অন্যরকম এবং আমি এভাবে একাই সময় কাটাতে পারব।’
এভাবেই নিজের শখের বিষয়টি পেশায় রূপান্তরিত করেন গ্রিন। ক্রমে হয়ে ওঠেন পেশাদার ডুব সাঁতারু। তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে মেট্রোকে বলেন, ‘পেশাদার ডুব সাঁতারু হত গিয়ে আমার শ্বাস ধরে রাখা শিখতে হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে ডুব দিতে, চারপাশে ঘুরতে, আকাশের দিকে তাকিয়ে সাঁতার কাটতে হয়েছে। বিভিন্ন মাছের নামও জানতে হয়েছে আমায়। আমি এই মুহূর্তে প্রায় এক মিনিটের জন্য আমার শ্বাস ধরে রাখতে পারি কারণ এটি গ্রীষ্মের শুরু।’
মিস গ্রিন দাবি করেন তিনি আগের তুলনায় কম অর্থ উপার্জন করলেও পছন্দের কাজ তাকে আগের চেয়ে বেশি সুখী করেছে। এবিষয়ে তাঁর কোন অনুশোচনা নেই। এমন শখ পূরণ করে নামার সময়ে তাঁর মা গ্রীনের কান্ডকারখানা দেখে পাগলামোই ভেবেছিলেন, কিন্তু আসলে সেই ভুল ভাঙিয়েছেন তাঁর মেয়ে। ইংরেজির শিক্ষকতা ছেড়ে গ্রিন এখন ডুব সাঁতারে ভেসে আছেন জীবনের নদীতে।
For all the latest entertainment News Click Here