শাহরুখের সম্মানহানি করতেই সারা হয়েছিল এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র! বিস্ফোরক ‘সুপারহিরো’
গত বছর মাদক মামলায় শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করার পিছনে অনেকেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছিলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে বলিপাড়ার একাধিক ব্যক্তিত্ব এই ধারণার সপক্ষে নিজেদের সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন। এবার এই তালিকায় জুড়ল জনপ্রিয় মালায়ালম অভিনেতা টোভিনো থমাস-এর নাম। তাঁর দাবি, আদতে এই মাদককাণ্ড গোটাটাই সাজানো এবং তা করা হয়েছে শাহরুখের নাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই!
বলিউড হাঙ্গামা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরিয়ান খান মাদককাণ্ড নিয়ে খোলাখুলি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নেটফ্লিক্সের সুপারহিরো ছবি ‘মিন্নাল মুরলি’-র নায়ক। রাখঢাক না করেই তিনি বলেছেন, ‘জেনেবুঝেই মাদককাণ্ডে ফাঁসানো হয়েছে আরিয়ান খানকে। সবটা দেখে যা মনে হচ্ছে তা হল এর পিছনে রয়েছে গভীর কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। সেটা হল শাহরুখ ও তাঁর ছেলে আরিয়ানের সম্মান নষ্ট করার জন্যই এটা একটা ষড়যন্ত্র ছিল।’
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের অংশ হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে, তবে এই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনওরকম তথ্যপ্রমাণ পায়নি এনসিবির বিশেষ তদন্তকারী দল। সেই প্রসঙ্গেও এই দক্ষিণী অভিনেতা বলেছেন, ‘মানুষ বুঝতে পারছেন গোটাটাই ষড়যন্ত্র ছিল। সেই জন্য তো দোষী সাব্যস্ত হননি আরিয়ান।’
উল্লেখ্য, এনসিবির যে অভিযানে কোর্ডেলিয়া ক্রুজ থেকে আটক করা হয়েছিল আরিয়ানকে সেটির মধ্যেও একাধিক অনিময়ের খোঁজ মিলেছে।প্রসঙ্গত, মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীতে ২রা অক্টোবরের বিকালে হানা দিয়েছিল এনসিবির যে দল তার নেতৃত্বে ছিলেন তত্কালীন এনসিবির মুম্বই ইউনিটের প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে। ওইদিন কোর্ডেলিয়া ক্রুজ থেকে মাত্র ১৩ গ্রাম কোকেন, পাঁচ গ্রাম মেফেড্রোন, ২১ গ্রাম মারিজুয়ানা এবং ২২টা MDMA ক্যাপসুল উদ্ধার হয়েছিল। পাশাপাশি ছিল ১.৩৩ লক্ষ টাকা নগদ।
উল্লেখ্য, গত ২৮শে অক্টোবর বম্বে হাইকোর্ট কোর্ডেলিয়া ক্রুজ মামলার জামিনের শুনানিতে যে সব পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছিল, সেই বিষয়গুলিই উঠে এসেছে সিট (SIT)-এর প্রাথমিক তদন্তে। আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনওরকম ষড়যন্ত্রের প্রমাণ নেই, স্পষ্ট জানিয়েছে এনসিবির সূত্র।
For all the latest entertainment News Click Here