শতরানের পরে বল হাতেও অর্জুনের কামাল, রঞ্জি অভিষেকেই নির্ভরতা দিলেন তেন্ডুলকর
রঞ্জি অভিষেকেই দলকে মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন অর্জুন তেন্ডুলকর। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ব্যাটে-বলে নজরকাড়া পারফর্ম্যান্স উপহার দেন সচিন পুত্র।
এবছর গোয়ার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠে নামা অর্জুনের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় রাজস্থানের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে। বাবার মতোই রঞ্জি অভিষেকে শতরান করে স্পটলাইট কেড়ে নেন জুনিয়র তেন্ডুলকর। পরে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে রাজস্থানের ইনিংস গুটিয়ে দিতে সাহায্য করেন দলকে।
ঘরের মাঠে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে গোয়া। তারা প্রথম ইনিংসে ১৭৪ ওভার ব্যাট করে। ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৫৪৭ রান তুলে গোয়া তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। সূয়াস প্রভুদেশাই দলের হয়ে সব থেকে বেশি ২১২ রান করেন। ৪১৬ বলের ইনিংসে তিনি ২৯টি চার মারেন।
অর্জুন তেন্ডুলকর ১২০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। ২০৭ বলের ইনিংসে তিনি ১৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। কমলেশ নাগারকোটির বলে তাঁর হাতেই ফিরতি ক্যাচ দেন অর্জুন। কমলেশ ২টি উইকেট নেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান তাদের প্রথম ইনিংসে একসময় ২৯৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে নবম উইকেটের জুটিতে ৬০ রান যোগ করেন মানব সুতার ও আরাফত খান। অনিকেত চৌধরীকে সঙ্গে নিয়ে আরাফত শেষ ইনিংসের জুটিতে আরও ৯৮ রান যোগ করেন। ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আরাফত শেষমেশ ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। রাজস্থান প্রথম ইনিংসে ১৩৩.১ ওভারে অল-আউট হয় ৪৫৬ রানে।
রাজস্থান প্রথম ইনিংসে অল-আউট হওয়া মাত্রই ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়। গোয়ার হাতে লিড থাকায় তারা ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। রাজস্থান সন্তুষ্ট থাকে ১ পয়েন্টে।
গোয়ার হয়ে ১১৩ রানে ৫ উইকেট নেন মোহিত রেডকর। অর্জুন তেন্ডুলকর ২৩.১ ওভার বল করে ৫টি মেডেন-সহ ১০৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। তিনি সাজঘরে ফেরান মহীপাল লোমরোর (৬৩), সলমন খান (৪০) ও অনিকেত চৌধরীকে (৩৮)।
For all the latest Sports News Click Here