লোভী নই, দ্য কাশ্মীর ফাইলসের সঙ্গে কোনও লড়াই নেই: দ্য কেরালা স্টোরির প্রযোজক
বক্স অফিসে অব্যাহত বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র স্বপ্নউড়ান। একের পর এক মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলছে আদা শর্মার এই ছবি। সলমন-রণবীরদের মতো সুপারস্টারদের পিছনে ফেলে ইতিমধ্যেই বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (পাঠানের পর আয় করা বলিউড ছবির খেতাব পকেটে পুড়েছে ধর্মান্তকরণের এই ছবি। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট থেকেও বড় স্বস্তি পেয়েছেন প্রযোজক বিপুল শাহ। পশ্চিমবঙ্গে ছবির প্রদর্শনের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
দেশের বক্স অফিসে ইতিমধ্যেই ১৬৫.৯৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বিপুল শাহ-র সানসাইন এন্টারটেনমেন্ট প্রযোজিত এই ছবি। বক্স অফিস বিশেষজ্ঞদের মতে অচিরেই ২৫০ কোটির গণ্ডি পার করে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর সর্বকালীন আয়কেও ছাপিয়ে যাবে এই ফিল্ম এমনটাই ধারণা। শুরু থেকেই বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর সঙ্গে তুলনা চলছে এই ছবির। কারণ দুটি ছবিকেই ‘প্রোপাগান্ডা’ ফিল্ম বলে বিঁধেছে বাম-কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি দুই ছবির নামের পাশেই ‘ইসলামোফোবিক’ শব্দ জোড়া হয়েছে। যদিও নির্মাতারা বারবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রযোজক বিপুল শাহ সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ‘আমি কোনওরকম তুলনায় যেতে চাই না। বিবেকের ছবি দুর্দান্ত ফল করেছে বক্স অফিসে। তবে নিশ্চয়ই ও ফলাফলের কথা ভেবে ছবিটা বানায়নি। ওর কাছে একটা গল্প ছিল, যা ও পর্দায় তুলে ধরেছে। তেমনিভাবে আমাদের কাছেও একটা গল্প ছিল তা আমরা ফুটিয়ে তুলেছি। বৃহত্তর দর্শকের কাছে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি, তাতেই আমরা খুশি’।
প্রযোজক আরও যোগ করেন, ‘দ্য কেরালা স্টোরির বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে আমি একেবারেই উত্তেজিত নই। পরিচালক বা প্রযোজক হিসাবে আমি কোনওদিন টাকার পিছনে দৌড়াইনি। আমি লোভী নই, আমি অল্পেই সন্তুষ্ট। ভগবান আমাকে একটা সুন্দর পরিবার দিয়েছে, আর উপযুক্ত রিসোর্স দিয়েছেন যা দিয়ে আমি ছবি তৈরি করতে পারি’।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ঐতিহাসিক সাফল্য এনে দিয়েছে বলে ভবিষ্যতেও এই ধাঁচের ছবি করতেই আগ্রহী হবেন বিপুল শাহ, এমনটা একেবারেই নয়। হিট ছবির কোনও ফর্মুলা হয় না, জোর দিয়ে বললেন প্রযোজক। ভালো গল্প পর্দায় তুলে ধরতে চান তিনি, স্পষ্ট কথা বিপুল শাহের।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ছবির লিডিং লেডি আদা শর্মা জানান, ‘এই ছবি তাদের কথা বলেছে যারা ইসলামের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসবাদ ছাড়াচ্ছে, ISIS-এ ভিড়িয়ে দিচ্ছে জোর করে। তাই যারা ভাবছেন এই ছবি ইসলাম বিরোধী, দয়া করে এমনটা মনে করবেন না। এটা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, আর সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম হয় না। আমি নিজে একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ, অন্যের ধর্মকে আমি কোনওদিন ছোট করব না’।
For all the latest entertainment News Click Here