‘লোকে অভিনেত্রী মিমিকে ভালোবাসতো বলেই এমপি হিসাবে আমাকে ভোট দিয়েছে’

অভিনেত্রীর পাশাপাশি যাদবপুরের সাংসদ তিনি। অভিনয়ে আসার পর খুব বেছে কাজ করেন মিমি চক্রবর্তী। অনেক দিন পর পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে মিমি চক্রবর্তীর ছবি। তাও আবার প্রথমবার পুলিশের চরিত্রে। বিপরীতে আবির চট্টোপাধ্যায়। ছবি নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে একান্ত আড্ডায় ধরা দিলেন মিমি চক্রবর্তী। 

পুজোয় এত ছবির ভিড়ে আসছে রক্তবীজ, কতটা চাপ অনুভব করছো? 

মিমি: আমি খুব বেশি চাপ নিচ্ছি বলাটাও ভুল, আবার একদম নিচ্ছি না বলাটাও ভুল। যে কটা ছবি আসছে সবকটাই ভালো ছবি। মার্কেটে কম্পিটিশন তো অবশ্যই রয়েছে, যে ‘কিস কে বড়কর কৌন’। যে সেরা, সেই জিতবে। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে এটাই বলব, আমরা তখনই বেঁচে থাকব যখন দর্শক হলমুখী হবে। চারটে ছবিই দেখুন, তবে আমার ছবিটা একটু বেশি দেখুন (হাসি)।

ফ্যানেদের দীর্ঘদিনের অনুযোগ, রাজনীতিতে আসার পর মিমি ছবির সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এটা কি ভেবেচিন্তে নেওয়া সিদ্ধান্ত? 

মিমি: আমার মনে হয় কনসাস ডিশিসন হয়তো, কিন্তু সেটা সাবকনসাস থেকে হয়ে গেছে। এক সময় বছরে আমার চারটে ছবি রিলিজ করেছে। এই স্থিরতা বা ব্রেকটার দরকার ছিল। বিশেষত সিনেমা যখন একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ওটিটির আগমন, হাজার হাজার কোটি টাকার সিনেমা চলছে না। আবার এমনও ঘটেছে মিনিমাম বাজেটের ছবি ভালো ফল করছে। আমিও শিখছি। আমি সময় নিচ্ছি সঠিক চিত্রনাট্য খুঁজতে।

আমার ক্ষেত্রে একটা জিনিস প্রযোজ্য, যেখানে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ (কমফোর্টেবল) করি না, সেখানে আমি কাজ করি না। লোকে বলে কমফর্টজোনের বাইরে গিয়ে কাজ করতে হয়। কিন্তু আমি আমার কমফর্টজোনকে সিলেক্ট করি। কমফর্টজোন আমার জন্য হল যেখানে আমি অভিনেতা হিসাবে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে পারব। আর পরিবেশের দিক থেকে বলব, যেখানে আমি স্বচ্ছন্দ নই, সেখানে কাজ করি না। 

প্রথমবার পুলিশের চরিত্রে, একই সঙ্গে শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির সঙ্গে আপনার হ্যাটট্রিক এই ছবি। কী বলবেন?

মিমি:আমার চিত্রনাট্যটা দারুণ পছন্দ হয়েছে। আমি একা নই, বাংলার অনেকেই শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির প্রশংসক। আর এইরকম যদি একটা চরিত্র কোনও অভিনেতার কাছে আসে, কেউ ডানদিক, বাঁ দিক ভাববে না। জাস্ট ঝাঁপিয়ে পড়বে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। 

এসপি সংযুক্তা মিত্র মিমির চোখে কেমন? খাগড়াগড়-এর মতো বাস্তব এবং সংবেদনশীল ঘটনা নিয়ে এই ছবি। অভিনেত্রী হিসাবে দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছিল? 

মিমি: একদমই তাই। বর্ধমানের এসপি সংযুক্তা মিত্র এবং কেন্দ্রের অফিসার পঙ্কজ মিত্র মানে আবিরদা দুজনে একসঙ্গে একটা মিশনের জন্য হাত মেলায়। সেটা ধরেই চিত্রনাট্য এগোয়। আশা করছি, আমরা একটা ভালো ছবি উপহার দিতে চলেছি।

এসপি-র একটা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থাকে। সে একরকমভাবে কথা বলে, আমি চেষ্টা করেছি সেটা সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে। কীভাবে বন্দুক ধরতে হয়, সেটা বার করতে হয়, চালাতে হয় সবটাই শিখেছি ছবির সেটে। তবে আমাকে কোনও ছকের মধ্যে বেঁধে দেয়নি কেউ। শিবুদা বলেছিল, চরিত্রটা অনেকটা আমারই মতো। স্যালুট জানাই আমাদের রিয়েল লাইফ পুলিশদের যাঁরা প্রতিদিন এই থ্যাঙ্কলেস জবটা করে চলেছেন।

সংযুক্তা আর পঙ্কজের ইগোর লড়াই পর্দায় কতটা চোখে পড়বে?

মিমি: অনেকটা জুড়েই ইগোর লড়াই দেখা যাবে। এটা থ্রিলার জঁর ছবি। আস্তে আস্তে পুরো বিষয়টা প্রকাশ্যে আসবে। 

বোঝে না সে বোঝে না থেকে রক্তবীজ, আবির-মিমির জুটির সমীকরণ এত বছরে কতটা বদলালো?

মিমি: আবিরদা অসাধারণ অভিনেতা। ওঁর সঙ্গে কাজ করলে দারুণ মজা আসে, দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। আমি জানি, আবিরদার নাম শুনলে মেয়েদের হাঁটু কাঁপে কিন্তু সেটা দুর্ভাগ্যবশত আমার সঙ্গে ঘটেনি কারণ আমার তো মনে হয় আমি বহুযুগ ধরে আবিরদাকে চিনি। উনি তো বলেন আমি নাকি ওঁনার প্রশংসাই করি না, তাই আজ এত ভালো ভালো কথা বলছি (হাসি)। আর রসায়ন নিয়ে তো আমি বলব না, সেটা আমার দর্শক বলবে যখন ১৯তারিখ ছবিটা দেখবে। যে সংযুক্তা আর পঙ্কজের জুটি তাঁদের কেমন লাগলো।

জলপাইগুড়ি থেকে টলিউড হয়ে দিল্লির সংসদ ভবনে, নিজের গত ১৩ বছরের জার্নিটা কীভাবে দেখেন?

মিমি: আমার কাছে যা আছে, যতটুকু রয়েছে সবটাই আমার দর্শকের ভালোবাসা। যখন অভিনয়ে আসার কথা ভেবেছিলাম, তখন আমার পাশে আমার পরিবার, আমার বাব-মাও ছিল না। শুধু ছিল, আমার সেইসময়ের কলেজের বন্ধুরা। দর্শকরা আমাকে ভালোবেসেছে বলেই হলে গিয়ে ছবি দেখছে, তাই আজ মিমি চক্রবর্তী মিমি চক্রবর্তী হতে পেরেছে। আমি যে চেয়ারটা আজ পেয়েছি সেটাও দর্শকদের জন্য। তাঁরা অভিনেত্রী মিমিকে ভালোবাসতো বলেই এমপি হিসাবে আমাকে ভোট দিয়েছে। আমি আমার দর্শকদের আমার মাথায় রাখি। 

অভিনেত্রী মিমির কেরিয়ারকে কোনওভাবে প্রভাবিত করেছে এমপি মিমি? 

মিমি: আমার মতো মনে হয় না জননেত্রী হওয়াটা আমার অভিনয় কেরিয়ারকে প্রভাবিত করেছে। আসলে সবসময় মানুষের এতো ভালোবাসা পেয়েছি ওটা মনেই আসেনি। আমার মনে হয়েছে অভিনেত্রী হয়ে কোনও তো ভালো কাজ করেছি, কিছু তো করেছি যাতে অনেক মানুষকে সাহায্য করতে পেরেছি।

এবার পুজোয় মিমির কী প্ল্যান? 

মিমি:  ২০ তারিখ অবধি তো রক্তবীজের প্রমোশন করব। ষষ্ঠীর পর আমি কোনও কাজ করি না, মানে পৃথিবী উলটে গেলেও আমি পেশাদার কোনও কাজ করব না। আবাসনের পুজোর মণ্ডপেই আমি থাকব। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা,খাওয়া-দাওয়া, ধুনুচি নাচ এইসব নিয়েই আমি ব্যস্ত থাকব। 

শেষ জানতে চাইব এই পুজোয় মিমির রিলেশনশিপ স্টেটাস কী?

মিমি: পুরোপুরি সিঙ্গল (হাসি)।

বিয়েটা কবে করছেন…(প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই)

মিমি: যখন হবে সবাই জানতেই পারবে। আপনাদের নিশ্চই জানাব। আপাতত কাজ নিয়েই ব্যস্ত, এই বেশ ভালো আছি। 

 

 

 

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.