‘লেখায় গণতন্ত্র চলে না’, ‘খড়কুটো’য় গুনগুনের মৃত্যু নিয়ে সাফ কথা লীনার
শেষ হতে চলেছে ‘খড়কুটো’। গল্পে গুনগুনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া ভক্তমহলে। ধারাবাহিকের ফ্যানপেজগুলিতে চলছে দীর্ঘ আলোচনা। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কেও।
কেন ‘হ্যাপি এন্ডিং’ পেল না মুখোপাধ্যায় পরিবারের আখ্যান? কেনই বা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে হল গুনগুনকে? লীনার দিকে ধেয়ে এসেছে এমনই নানা প্রশ্ন। শুধু তাই নয়। লেখিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ‘খোলা চিঠি’ লেখা চলেছে ফেসবুকে। তারই সঙ্গে সমালোচনা, কটাক্ষ।
এ বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে লীনা বললেন, ‘একটা ভালোলাগার চরিত্র চলে গেলে কষ্ট লাগবেই। কিন্তু লেখকেরও তো একটা ইচ্ছা-অনিচ্ছার ব্যাপার থাকে। তিনি যখন একটি গল্প তৈরি করেন, তখন সেখানে কোন চরিত্রের জার্নি কোথায় শেষ হবে, তা লেখকই ঠিক করবেন। লেখায় কোনও গণতন্ত্র চলে না।’
(আরও পড়ুন: গুনগুনের মৃত্যুতেই শেষ খড়কুটো, অন্তিম পর্বে বিশেষ চমক! কবে বন্ধ হচ্ছে ধারাবাহিক)
নেটমাধ্যম বিশেষ ব্যবহার করেন না লীনা। তবে গুনগুনের মৃত্যু নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি অবগত। তাঁর যুক্তি, ‘আমার মনে হয়েছিল, এ রকম কিছু একটা হলেই মানুষ সারা জীবন গুনগুনকে মনে রাখবেন। সেই জন্যই এটা করা। জীবন তো থেমে থাকে না। এগিয়ে চলে। আর সেটা দেখার জন্যই ধারাবাহিকের শেষ দিন অপেক্ষা করতে হবে। গল্পে একটা টুইস্ট আছে। আমার মনে হয় সেটা দেখে দর্শকের দুঃখ কিছুটা হলেও কমতে পারে।’
(আরও পড়ুন: নতুনত্বের রমরমায় বন্ধ হবে ‘খড়কুটো’? ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন তৃণা)
লীনা চান, ধারাবাহিক দেখে দর্শকের মনে তৈরি হওয়া আবেগ যেন ওইটুকুতেই সীমাবদ্ধ না থাকে। তার প্রভাব যেন পড়ে বাস্তবেও। লেখিকার কথায়, ‘আমরা চারপাশে অনেক দুঃখ-দুর্দশা দেখি। সেটা যেন অন্য একটা জগৎ। ধারাবাহিক ঘিরে এই আবেগ যদি মানুষের জীবনেও কিছুটা প্রতিফলিত হয়, তা হলে আমাদের সমাজটা অনেক ভালো হবে।’
রবিবার ‘খড়কুটো’য় থাকবে বিশেষ চমক। এ প্রসঙ্গে ‘গুনগুন’ তৃণা সাহা বলেছিলেন, ‘দর্শকদের জন্য একটা উপহার আছে। আমার বিশ্বাস, সেই উপহার পেয়ে তাঁদের মন খারাপ মুছে যাবে।’ কিন্তু কী সেই উপহার? আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই মুখিয়ে অনুরাগীরা।
For all the latest entertainment News Click Here