‘লেখক হিসেবে বাবা কখনও ন্যায্য পাওনা পাননি’- ঠিক কে ছিলেন জিনাত আমনের পিতা?
ফাদার্স ডে উপলক্ষে স্মৃতির সাগরে এক প্রকার ডুব দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জিনাত আমান। তাঁর বাবা মায়ের প্রেম কাহিনি থেকে বিচ্ছেদ, বাবার সঙ্গে তাঁর রসায়ন সবটাই এদিন তিনি তুলে ধরেন তাঁর লেখায়। অভিনেত্রীর বাবার নাম ছিল আমানউল্লাহ খান এবং মায়ের নাম ছিল বর্ধিনী সিন্ধিয়া।
এদিন জিনাত তাঁর বাবার সঙ্গে একটি ছোটবেলার ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে তাঁকে এবং তাঁর বাবাকে একটি নৌকোয় বসে থাকতে দেখা জয়। তাঁর সামনে আরও একজন ব্যক্তি বসে আছেন। এই ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘এই ছবিটা একটা স্টুডিওতে তোলা হয়েছিল। আমার খুব কাছের ছবিটা। আমার বাবা আমার পিছনে বসে আছেন, আর সামনে বসে আছেন একজন আত্মীয়। আমার বাবার রাজ পরিবারের ছেলে ছিলেন। তাঁর মা ছিলেন আখতার জাহান বেগম। তিনি ভোপালের রাজা নবাব হামিদুল্লাহর আত্মীয় ছিলেন।’
অভিনেত্রী তাঁর এই পোস্টে আরও লেখেন, ‘আমার বাবারা ৮ ভাই বোন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে আমার বাবাই সব থেকে বড় এবং সুপুরুষ ছিলেন। তাঁরা ভোপালে দারুণ সুখের একটা জীবন কাটাতেন। কিন্তু একটা সময় তিনি ঠিক করেন যে সিনেমায় অভিনয় করবেন। তখন মুম্বইতে আসেন। এখানে এসেই আমার মায়ের সঙ্গে আলাপ হয় এবং তাঁরা কদিন প্রেম করার পরই বিয়ে করে নেন। যদিও আমার বাবার বাড়ির তরফে কেউ এই বিয়ে মানেননি। কারণ আমার মা হিন্দু ছিলেন আর বাবা মুসলিম। তাঁরা আলাদাই এখানে থাকতেন। এরপর আমার বাবা কয়েকটি ছবি অভিনয় করার পরই লেখালিখির দিকে মন দেন। তিনি মুঘলে আজম, পাকিজ ছবির জন্য চিত্রনাট্য লেখার কাজ করেছিলেন। তিনি আমার মনে হয় না তিনি কখনই লেখক হিসেবে তাঁর যোগ্য পাওনা পেয়েছেন বলে।’
একই সঙ্গে এই লেখায় তিনি তব বাবা মায়ের সম্পর্কের কথাও মনে করেন। লেখেন, ‘আমার জন্মের কিছু মাস পরেই আমার মা বাবা আলাদা হয়ে যান। আমার বাবা বান্দ্রার একটি বাংলোতে থাকতে শুরু করেন তখন। আমি যেতাম মাঝে মধ্যে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। তিনিও আমায় আর মাকে চিঠি লিখতেন। আমি তাঁর কাছে গেলেই উনি উর্দু কবিতা, গল্প শোনাতেন। আইসক্রিম খাওয়াতে নিয়ে যেতেন। আমরা খুব মজা করতাম একসঙ্গে।’
শেষে তিনি আক্ষেপের সঙ্গে জানান তাঁর বাবা মাত্র ৪১ বছর বয়সেই প্রয়াত হন। অভিনেত্রী জানান তিনি তাঁর বাবার নামকে নিজের পদবী হিসেবে বেছে নেন, যা চিরকাল থেকে গিয়েছে তাঁর সঙ্গে।
For all the latest entertainment News Click Here