লিড নিয়েও সার্ভিসেসের কাছে হার, সন্তোষের নকআউটে ওঠার অঙ্কটা কঠিন হল বাংলার

সন্তোষ ট্রফির কোয়ালিফাইং রাউন্ডে বাংলা দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিল বাংলা। কোয়ালিফাইং রাউন্ডে সব ম্যাচ জিতে মূলপর্বে পৌঁছেছিল তারা। কিন্তু মূল পর্বে তারা বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে। প্রথম ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে ড্র করে । আর দ্বিতীয় ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও সার্ভিসেসের কাছে হেরে বসল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের টিম। যার জেরে নক আউট পর্বে যাওয়া বেশ কঠিন হয়ে গেল।।

এগিয়ে থেকেও সার্ভিসেসের কাছে ১-২ গোলে হেরে একেবারে খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছে বাংলা। এখনও মণিপুর, মেঘালয়, রেলওয়েজদের বিরুদ্ধে খেলা বাকি নরহরি শ্রেষ্ঠাদের। গ্রুপ টেবিলের প্রথম দুইয়ে থাকতে হলে বাকি তিন ম্যাচই এখন ডু অর ডাই লড়াই করতে হবে বাংলার ফুটবলারদের। একই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর দিকেও। গ্রুপ পর্ব থেকে প্রথম দু’টি দল পৌঁছে যাবে সেমিফাইনালে। সার্ভিসেস প্রথম দুটি ম্যাচ জিত গ্রুপ টেবলের শীর্ষে রয়েছে।

আরও পড়ুন: Santosh-এর মূল পর্বের শুরুতেই পয়েন্ট নষ্ট, খেলার সময় নিয়ে ক্ষোভ বাংলার কোচের

সোমবার ভুবনেশ্বরের ক‍্যাপিটাল ফুটবল এরিনার মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা এবং সার্ভিসেস। ম‍্যাচের ১৬ মিনিটে নরহরি শ্রেষ্টার গোল করে বাংলাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই গোল ধরে রাখতে পারেনি বাংলা। ৪১ মিনিটে ক্রিস্টোফার কামি গোল করে সার্ভিসেসকে সমতায় ফেরান। পরে ৮২ মিনিটে সার্ভিসেসের বিকাশ থাপা জয়সূচক গোলটি করেন।

দুটি ম‍্যাচ খেলে বাংলার পয়েন্ট মাত্র ১। সার্ভিসেস দুই ম‍্যাচে ৬ পয়েন্ট। মণিপুর আগেই রেলওয়েজকে হারিয়ে শুরুটা ভালো করেছে। সোমবার মণিপুর যদি মেঘালয়কে হারিয়ে দেয় তা হলে নক আউটে ওঠার রাস্তাটা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে তাদের। অঙ্কের বিচারে বাংলার এখনও সুযোগ আছে ঠিকই কিন্তু পরিস্থিতি খুব কঠিন। বাংলাকে এখন বাকি তিনটি ম‍্যাচেই জিততে হবে। পাশাপাপাশি অন‍্য দলের ফলাফলের উপরও নির্ভর করে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: সন্তোষ ট্রফিতে বড় চমক, টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল, ফাইনাল হবে সৌদি আরবে

জাতীয় গেমসে এই সার্ভিসেসকেই ১-০ হারিয়েছিল বাংলা। সন্তোষ ট্রফিতে সেই দলের কাছেই হেরে বসলেন নরহরিরা। ম্যাচের পর ফুটবলারদের আত্মতুষ্টিকে দায়ী করেছেন কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সময়ে ভালো এবং খারাপ দু’টোই খেয়াল রাখতাম। জাতীয় গেমস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ছেলেরা নিজেদের অপ্রতিরোধ্য মনে করছিল। আত্মতুষ্টিই এই হারের কারণ। এত গোল মিস করলে ম্যাচ জেতা যায় না। টুর্নামেন্টে এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ওদেরই সেটা ভাবতে হবে।’

বিশ্বজিৎ যোগ করেন, ‘আমরা গোটা ম্যাচ প্রাধান্য বজায় রেখেও জিততে পারিনি। ওরা দুটো সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে। সার্ভিসেসের ফুটবলাররা সারা বছর এক সঙ্গে ফুটবল খেলে। বোঝাপড়া বেশ ভালো। আমরা দেড় মাসের টিম। এখান-ওখান থেকে ফুটবলার নিয়ে দল তৈরি করতে হয়। কলকাতা লিগে বিদেশি স্ট্রাইকারদের প্রাধান্য দেওয়া হলে, বাঙালি স্ট্রাইকারের অভাব তো হবেই। ফলে যা হওয়ার তাই-ই হচ্ছে।’ বুধবার মণিপুরের সঙ্গে পরের ম্যাচ বাংলার। ওই ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করলে সন্তোষ। ট্রফি থেকে একেবারেই ছিটকে যাবে বাংলা।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.