লিগামেন্টের চোট সারতে তিন-চার মাস, পুরো ফিট হতে কত দিন? WC-এ খেলতে পারবেন পন্ত?

মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই অম্বানী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ঋষভ পন্ত। ইতিমধ্যে তাঁরে বড় অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে। গাড়ি দুর্ঘটনায় ডান পায়ের হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল পন্তের। সেখানেই অস্ত্রোপচার করেছেন চিকিৎসকেরা।

শুক্রবার অস্ত্রোপচার হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারের। অস্ত্রোপচার করেছেন ডাক্তার দীনশ পারদিওয়ালা এবং তাঁর টিম। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয়েছে পন্তের। তবে এখনও সুস্থ হতে দীর্ঘ দিন সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের তরফে পন্তকে নিয়ে কোনও বুলেটিন দেয়নি। যেহেতু ভারতীয় ক্রিকেটারের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বিসিসিআইয়ের, তাই তারাই এই বিষয়ে জানাবে।

আরও পড়ুন: বিরাট কোহলি আর একই ভাবে আমাকে ছক্কা মারতে পারবেন না- আত্মবিশ্বাসী পাক বোলার

টাইমস এফ ইন্ডিয়ার দাবি, ২৫ বছরের তারকার অ্যান্টিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (ACL) এবং মিডিয়াল কোলেটরাল লিগামেন্ট (MCL) এ দু’টি টিয়ার রয়েছে। দেরাদুন থেকে যখন পন্তকে মুম্বইতে এয়ারলিফ্ট করে নিয়ে আসা হচ্ছিল, বিসিসিআই তখন উল্লেখ করেছিল যে, পন্তের লিগামেন্টে টিয়ার রয়েছে। কিন্তু আঘাতের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি তারা। বিসিসিআই-এর সূত্র জানিয়েছে, পন্তের এই চোট সারিয়ে উঠতে এখন চার মাসেরও বেশি সময় লাগতে পারে।

বিসিসিআই-এর সেই সূত্রের দাবি, ‘ওর ডান-হাঁটুতে আগে থেকেই একটি চোট ছিল। সেই কারণে বেঙ্গালুরুর এনসি-তে থাকার কথা ছিল পন্তের। কিন্তু এসিএল এবং এমসিএল ছিঁড়ে যাওয়ায় পন্তের রাস্তা কঠিন হব। কারণ তাঁর সেরে উঠতে সময় লাগবে।’

আরও পড়ুন: ওয়াইড না দেওয়ায় আম্পায়ারের দিকে তেড়ে গেলেন শাকিব, জড়ালেন নতুন বিতর্কে- ভিডিয়ো

সেই সূত্র থেকে আরও জানা গিয়েছে, ‘শুধুমাত্র যদি এসিএল ছিঁড়ত, তবে তুলনামূলক ভাবে দ্রুত সুস্থ হওয়ার কথা ভাবা যেত। কিন্তু এমসিএল টিয়ারও হয়েছে, তাই সময় বেশি লাগবে। পন্ত যেহেতু একজন উইকেটরক্ষক, যে কারণে এমসিএলের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওকে ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময়ে সারাক্ষণ ঝুঁকে থাকতে হয়। এবং পাশে সরতে হয়, লাফাতে হয়।’

সূত্রটি যোগ করেছে, ‘এখনও পর্যন্ত পন্তের প্রাথমিক ফোকাস হচ্ছে, অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য সময় মতো ফিট হওয়া। ওকে রিহ্যাবের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কিছু ম্যাচ খেলতে হবে। এবং নিজেকে পরীক্ষা করার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে। লিগামেন্ট তিন-চার মাসের মধ্যে সেরে যেতে পারে। তবে পুরো ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে ওর আরও সময় লাগবে।’

দুর্ঘটনার পরে প্রথমে দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল পন্তকে। কিন্তু সেখানে তাঁকে রাখতে চায়নি বিসিসিআই। কারণ পন্তের হাঁটুর ফোলা ভাব কমছিল না। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। পন্তকে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে। বোর্ড চাইছিল তাদের ডাক্তাররাই সরাসরি পন্তকে দেখুন। প্রসঙ্গত, দীনশ পারদিওয়ালা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.