লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেট তালিকার গোড়ার দিকেই নাকি সলমন, আতঙ্ক বলিউডে
লরেন্স বিষ্ণোই দীর্ঘদিন ধরেই জেলে রয়েছেন। কিন্তু হলে কী হবে, তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি সুযোগ পেলেই ভাইজানকে হত্যা করবেন। তাঁর টার্গেট লিস্টের প্রথম ১০ জনের মধ্যে অন্যতম হলেন সলমন খান। এই দুষ্কৃতি এমনটাই জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএকে।
এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ১৯৯৮ সালে হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিংয়ে গিয়ে সলমন একটি কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করেন। আর বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে এই হরিণকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। ভাইজান যেহেতু এই সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছেন সেহেতু লরেন্স তাঁকে হত্যা করতে চান বলেই জানিয়েছেন। বিষ্ণোই NIA -কে আরও বলেছেন যে তাঁর নির্দেশেই গত বছর ডিসেম্বরে সম্পাত নেহরা সলমের বাড়ির রেইকি করে আসেন। যদিও এই কাণ্ডের জন্য হরিয়ানা পুলিশের তরফে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে
এরপর চলতি বছরের ১১ এপ্রিল আবারও ভাইজানকে একটি হুমকি ভরা মেইল পাঠানো হয়। যিনি ভাইজানকে এই মেইল করেছিলেন তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
লরেন্স বিষ্ণোই আরও জানিয়েছেন যে তিনি ২০২১ সালে ২টো জিগানা কিনেছেন গোল্ডি ব্রারের থেকে। বর্তমানে লরেন্স তিহার জেলে রয়েছেন।
সলমন খানকে হত্যার হুমকি পাঠানোর জন্য লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার এবং রোহিত গর্গের নামে আইপিসির ৫০৬ (২), ১২০ বি, ৩৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে। লরেন্স এত কিছুর পরেও জানিয়েছেন সলমন তাঁর লক্ষ্য। শুধু সলমন নন, সিধু মুসওয়ালার ম্যানেজার সাগুনপ্রীতকেও টার্গেট করেছেন।
সাগুনপ্রীতের দোষ হল তিনি সিধুর সঙ্গে থাকতেন তাঁর হয়ে তিনি কাজ করতেন। সেই কারণেই লরেন্স তাঁকে হত্যা করতে চান। একই সঙ্গে তাঁর অন্যতম অপরাধ হল তিনি পাঞ্জাবের এক ছাত্রনেতা ভিকি মিদ্দুখেরাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত লরেন্স বিষ্ণোইকে সিধু মুসওয়ালা হত্যা মামলায় গত বছর গ্রেফতার করা হয়। ১৮ এপ্রিল আদালতের নির্দেশে তাঁকে ৭ দিনের জন্য NIA এর কাস্টডিতে দেওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
For all the latest entertainment News Click Here