লরিতে পিষে মৃত্যু অভিনেত্রী সুচন্দ্রার, শেষ কী কথা হয়েছিল? মুখ খুললেন স্বামী
অভিনেত্রী হওয়াই ছিল স্বপ্ন, অভিনয় ছিল তাঁর ভালোবাসা। নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন অভিনেত্রী সুচন্দ্রা দাশগুপ্ত। জি বাংলার ‘গৌরী এলো’ সহ বেশকিছু ধারাবাহিকে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন সুচন্দ্রা। আর শনিবার ছিল তাঁর নাটকের রিহার্সাল, সেখান থেকে ফেরার পথেই মৃত্যু হল সুচন্দ্রার। মাত্র ৩০ বছরেই না ফেরার দেশে চলে যেতে হল তাঁকে। ঠিক কী ঘটেছিল?
সুচন্দ্রার স্বামী দেবজ্যোতি সেনগুপ্ত, যিনি কিনা পেশায় একজন আইটি কর্মী, তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন। দেবজ্যোতি জানিয়েছেন, ‘আমার স্ত্রী অভিনয় শুরু করেন ২০২১ সাল থেকে। যদিও ও চেষ্টা করতই বলা চলে। এখানে তো স্ট্রাগল করতে হয় অনেক। ও প্রচুর খাটত। ওর একটা প্য়াশান ছিল অনেকদিন ধরেই। মাঝে ও চাকরি করছিল বলে অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিল, চাকরি ছাড়ার পর ও পুরোদমে অভিনয় শুরু করে। বেশকিছু সিরিয়ালে ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করেছে। যদিও সেগুলি সাময়িক আসা কিছু চরিত্র ছিল।’ ও একটা নাটক দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিল, নাম বলতে পারব না। গতকাল (শনিবার) একটা নাটকের শো ছিল। কোথায় কী, আমি ঠিক বলতে পারব না যদিও। ও বিকেলে বলল শো আছে, তারপর আর কথা হয়ে ওঠেনি। ও বাড়ি ফিরছে না দেখে আমার শ্বশুরমশাই ও আমি ক্রমাগত ফোন করে যাচ্ছিলাম, তখন রাত ১২টা। ফোনে পাইনি। এর পরেই খড়দা থানা থেকে ফোন করে জানানো হয়।’
ঠিক কী ঘটেছিল জানতে চাওয়া হলে প্রয়াত অভিনেত্রী সুচন্দ্রার স্বামী জানান, ‘ঘটনাস্থলে তো আমি ছিলাম না। যতদূর জেনেছি ও র্যাপিডোতে ফিরছিল, ওটা রাস্তার মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিল, বাইক চালকের কিছুই হয়নি। আমার স্ত্রী কোনওভাবে ব্যালেন্স হারিয়ে পড়ে যান। সামনে সাইকেল চলে এসেছিল বলে শুনেছি। আর তারপরই একটা লরি এসে ওকে পিষে দেয়।’
দেবজ্যোতি সেনগুপ্ত আরও জানান, ওঁর প্রয়াত স্ত্রী সুচন্দ্রার বাবার বাড়ি সোদপুরে, ও গত ৪-৫ দিন সোদপুরেই ছিল, আজই আমার কাছে নরেন্দ্রপুরে ফেরার কথা ছিল। দেবজ্যোতি জানান, ‘আমার সঙ্গে ৭টা নাগাদ শেষবার কথা হয়েছে, বলল শোতে আছি, রাতে ফিরে ফোন করব। আর ওর বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে সাড়ে ১০টা নাগাদ। আমি রাতে খবর শুনেই থানায় পৌঁছেছিলাম।’
For all the latest entertainment News Click Here