লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা! ৬৮ রানেই শেষ ইংল্যান্ড, ২৬৭ রান করেও ইনিংসে ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া
পিচ বদলায়, পরিবেশ বদলায়, দেশ বদলায়, বদল হয় মহাদেশেরও, খালি বদলায় না ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতা। আহমেদাবাদ থেকে অ্যাডিলেড, সর্বত্র ইংল্যান্ড টেস্ট দলের ব্যাটিংয়ের হাল যেন একই। মেলবোর্নে অ্যাসেজের তৃতীয় টেস্টে মাত্র দুই দিন এবং এক সেশনে, ইনিংস ও ১৪ রানে হেরে অ্যাসেজের ইতিহাসে একগুচ্ছ লজ্জার নজির গড়ল জো রুটের দল।
প্রথম দুই টেস্টে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর আশা ছিল মেলবোর্নে ঘুরে দাঁড়াবে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে সেখানে মাত্র ১৮৫ রানে অল আউট হয়ে গেলেও দ্বিতীয় দিনে বোলারদের দাপটে ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড। ৮২ রানে পিছিয়ে থাকলেও হাতে ম্যাচে ফেরার প্রচুর সময় ছিল। তবে তারপর যা হল, তা ইংল্যান্ড দল দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি হয়তো। দ্বিতীয় দিনে মোটে ১২ ওভারেই ৩১ রানে চার উইকেটে হারিয়ে ফেললেও কোথাও না কোথাও আশা ছিল ক্রিজে থাকা অধিনায়ক রুট এবং সহ-অধিনায়ক বেন স্টোকস সম্মানজনক রান তুলে দলকে লড়াইয়ে ফেরাবেন। সে গুড়ে বালি। তৃতীয় দিনে প্রথম সেশনে মাত্র ৬৮ রানেই গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসে এই ম্যাচেই অভিষেকে স্কট বোল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ছয় উইকেট নেন। মিচেল স্টার্ক তিন ও ক্যামেরন গ্রিন একটি করে উইকেট পান। ইংল্যান্ডের হয়ে রুট (২৮) এবং স্টোকস (১১) ছাড়া কেউ দুই অঙ্কের রানেও পৌঁছতে পারেনি। ডেভিড মালান, জ্যাক লিচ, মার্ক উড এবং ওলি রবিনসন, মোট চার ব্যাটার শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। ঘটনাক্রমে বিগত ৩৫ বছরে ২৬৭-র থেকে কম রান করে আর কোনো দল ইনিংসে টেস্ট ম্যাচ জেতেনি।
অ্যাসেজের ইতিহাসে এটি ইনিংসে ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর (১৮৮৮ সালে ১৭২ রান করে ইংল্যান্ড ম্যাচ জেতে)। বিগত ১১৭ বছরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৬৮ রান ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর। এমন লজ্জার হার, এক চরম হতাশাজনক সিরিজের পর ইসিবির (ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) পক্ষ থেকে কিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েইছে। করোনা আতঙ্কে বাকি সিরিজ খেলা হলে ইংল্যান্ড কী ভাবে খেলে, সেইদিকেও নজর থাকবে সকলের। প্রসঙ্গত, এই ম্যাচ জিতে পাঁচ টেস্টের সিরিজ জয়ের পাশপাশি অ্যাসেজও রিটেন করল প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া ।
For all the latest Sports News Click Here