রূপঙ্করের বাড়ির রান্নাঘরে আগুন! অব্যবহৃত চিমনি ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন গায়ক রূপঙ্ক বাগচী এবং তাঁর পরিবার। এক বহুতলের আবাসনে পরিবারের সঙ্গে থাকেন গায়ক। শনিবার রাত আটটা নাগাদ আচমকাই তাঁদের ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে চিমনি থেকে দাউ দাউ করে আগুন লেগে যায়। নিরাপত্তা রক্ষীদের সহায়তায় অনেক কষ্টে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গিয়েছে, জাতীয় পুরস্কারজয়ী গায়কের ফ্ল্যাটে দুটি রান্নাঘর রয়েছে। একটি আধুনিক জিনিস দিয়ে সাজানো, অপর রান্নাঘরটি একটু পুরনো ধাঁচের। এই রান্নাঘরেই তাঁদের রান্নার দিদি নয়মিত রান্না করেন। কিন্তু তিনি দিন কয়েকের ছুটিতে রয়েছেন।
এমনই সময় গায়কের মেহুলের রান্না করার ইচ্ছে হয়। তাই সে আধুনিক রান্নাঘরের চিমনি জ্বেলে রান্নার সব ব্যবস্থা করতে শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার ফলে চিমনিতে পাখি বাসা বেঁধেছে সেটা জানা ছিল না তাঁদের। ফলে চিমনি চালিয়ে রূপঙ্কর কন্যা রান্নার বাকি সরঞ্জামের জোগাড়ে লেগে পড়ে। এ দিকে চিমনির মোটর চালু হয়ে, অল্প সময় পরেই বিস্ফোরণ হয়। চিমনিতে আগুন ধরে যায়, পাশাপাশি চিমনির মধ্যে থাকা পাখির বাসাতেও আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে। আরও পড়ুন: ‘বেলাশুরু’ জুটি সৌমিত্র-স্বাতীলেখা আমুলের কার্টুনে, সংস্থার তরফে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
গায়কের স্ত্রী চৈতালীর কথায়, সেই মুহূর্তের সকলে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। তড়িঘড়ি রান্নাঘর থেকে মেয়ে মেহুলকে সরিয়ে আনেন। পোষ্য সারমেয় সন্তানকেও আলাদা ধরে সরিয়ে নেন। তাঁদের সারা বাড়িতে শুকনো খড়, কাঠি, চারপাশের ল্যামিনেট করা কাঠের ক্যাবিনেটেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। গায়ক বালতির পর বালতি জল ঢেলে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে গায়কের স্ত্রী বাড়ির সমস্ত বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে দেন।
আবাসনের বাকি বাসিন্দাদের সজাগ করে, ফোন করে ফ্ল্যাটের নিরাপত্তা রক্ষীদের ডেকে আনেন। অগ্নি নির্বাপক দিয়ে অবশেষে আগুন নেভানো হয়। এ দিন রাতে বাইরে থেকে খাবার এবং জল এনে খেয়েছিলেন বাগচী পরিবার। রবিবার বাড়িতে আলো, জল সব আবার স্বাভাবিক হয়েছে। চৈতালীর কথায়, এর আগেও একবার বাতানুকূল যন্ত্র থেকে তাঁদের বাড়িতে আগুন লেগেছিল। তিনি সকলের কাছে অনুরোধ করেন, বাড়ির সমস্ত যন্ত্র মাঝেমধ্যেই দেখে নিতে।
For all the latest entertainment News Click Here