রাহুলকে দ্যুতির সপাট চড়, ফের ভাঙনের মুখে ঋদ্ধি-খড়ির সম্পর্ক! নয়া মোড় গাঁটছড়ায়

মন ভেঙেছে দ্যুতির। আরও একবার রাহুলের আসল চেহারা তার সামনে এসেছে। অন্য মহিলার সঙ্গে স্বামীকে দেখে ফেলার পর সে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। নিজেকে শেষ করে দিতে চাইছে। দিদির দুঃসময়ে তার পাশে দাঁড়ায় খড়ি।

নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে দ্যুতি। লোভে অন্ধ হয়ে করা ভুলগুলোর কথা মনে পড়ছে তার। ভেঙে পড়ছে সে। তাকে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছে খড়ি। রাহুলকে ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করার পরামর্শ দেয় খড়িকে। কিন্তু দ্যুতি কি পারবে সব ভুলে নতুন জীবন শুরু করতে?

অতীতকে মুছে ফেলার চেষ্টা শুরু। বিপদে পড়ে দ্যুতির কাছে ছুটে আসে রাহুল। ভেবেছিল স্ত্রীর কাছে সাহায্য পাবে সে। কিন্তু তেমন কিছুই হয় না। স্বামীকে ফিরিয়ে দেয় দ্যুতি। শুধু তাই নয়। সপাট একটি চড়ও বসায় তার গালে।

অন্য দিকে, নিজের ভুল বুঝতে পেরে খড়ির কাছে ছুটে আসে ঋদ্ধি। বুঝতে পারে, পরিস্থিতির চাপে পড়ে বনি-কুণালের বিয়ে দিয়ে বাধ্য হয়েছিল তার স্ত্রী। নিজের ভুল শুধরে নিয়ে খড়ির সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে চায় সে। স্বামীকে সেই সুযোগ দেয় খড়ি। তাদের সম্পর্কের মোড় ঘুরে যায় মধুচন্দ্রিমায় এসে।

(আরও পড়ুন: রাহুলের সঙ্গে বিয়ে ভাঙতে চায় দ্যুতি! হতাশায় কোন চরম সিদ্ধান্ত নিল সে)

ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরে আসে তিন জুটি। এত দিন পর কুণালকে দেখে উতলা মধুজা। একই সঙ্গে বনিকে কাঠগড়ায় তুলে দেয় সে। দাবি করে, স্ত্রীর বুদ্ধিতেই মাকে এড়িয়ে চলেছে কুণাল। চলতে থাকে দোষারোপ। অবশেষে কুণালের ধৈর্যের বাধ ভাঙে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে বনির হয়ে কথা বলে সে। আর তাতেই অবাক সকলে।

(আরও পড়ুন: মধুচন্দ্রিমার সুবাদে ‘গাঁটছড়া’য় নয়া মোড়! জেনে নিন কী ঘটতে চলেছে)

ব্যবসার ক্ষেত্রেও দেখা দেয় নতুন সমস্যা। সিংহ রায় জুয়েলার্সকে ছাপিয়ে যাচ্ছে দত্তরা। তার জন্য খড়ি আর ঋদ্ধিমানকেই দায়ী করে সুধাংশু। তার দাবি, অয়নার সঙ্গে কুণালের বিয়ে হলে দত্তদের রোষের মুখে পড়তে হত না তাদের।

ব্যবসার হাল ফেরানোর প্রস্তুতি নেয় ঋদ্ধি। দত্তদের গয়নার ডিজাইনারকে খুঁজে বার করার পরিকল্পনা তার। এ দিকে খড়ি অজান্তেই কাজ করে গিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের জন্য। সেই সত্যি কি এ বার সামনে আসবে? ফের ফাটল ধরবে ঋদ্ধি-খড়ির সম্পর্কে? এখন সেটাই দেখার।