রান না পেলে IPL জিতে লাভ নেই- সঞ্জুর জাতীয় দলে সুযোগ নিয়ে শ্লেষ প্রাক্তন নির্বাচকের
বুধবার রাতে রাজস্থান রয়্যালস লখনউ সুপার জায়ান্টসদের কাছে ১০ রানে হেরে গিয়েছে। জয়পুরের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে তুলনামূলক ভাবে কম স্কোরিং ম্যাচে জিততে পারেনি রাজস্থান। আরআরকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল। তবে ইতিবাচক সূচনা সত্ত্বেও সঞ্জু স্যামসনের টিন ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে। জস বাটলার এবং যশস্বী জয়সওয়াল ওপেনিং জুটিতে ৮৪ করেছিল। তবে মিডল অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়।
তবুও রাজস্থান রয়্যালস কিন্তু লিগ টেবলের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। তারা ছয়টি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জয় পেয়েছে এবং নেট রান রেটও (+১.০৪৩) বেশ ভালো। স্যামসনের নেতৃত্বাধীন রাজস্থান গত বছর ফাইনালেও পৌঁছেছিল। তবে তারা ফাইনালে আইএপিএলে অভিষেক হওয়া গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরেছিল।
সঞ্জু স্যামসনও আগের মরশুমে রয়্যালসের জার্সিতে ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলেছিল। ১৭ ম্যাচে ১৪৬-এর দুর্দান্ত স্ট্রাইক রেটে ৪৫৮ রান করেছিলেন। ২০২৩ আইপিএলে কেরালার তারকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান এখনও পর্যন্ত ছয় ম্যাচে ১৫৯ রান করেছেন। দু’টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। আইপিএলে ভালো খেলার পরেও সঞ্জু কিন্তু জাতীয় দলে নজর কাড়তে পারেননি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফরম্যান্স সত্ত্বেও, তিনি টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে ধারাবাহিক রান পাননি।
সঞ্জু স্যামসন তাঁর অভিষেক হওয়ার পর থেকে ১১টি ওডিআই এবং ১৭টি টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ব্যাটিং অর্ডারে বেশ কয়েকটি পজিশনে তাঁকে খেলানো হয়েছে। যার মধ্যে তিনি ওপেনও করেছিলেন। ভারতের প্রাক্তন নির্বাচক শরণদীপ সিং-এর এক অনুষ্ঠানে বলে দিয়েছেন, সঞ্জু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। শরণদীপের কাছে হিনুস্তান টাইমস জানতে চেয়েছিল, চাওয়া হয়েছিল, জাতীয় দলে আরও বেশি সুযোগ পাওয়ার জন্য কি অধিনায়ক হিসেবে কি সঞ্জুকে আইপিএল ট্রফি জিততে হবে? এর উত্তরে শরণদীপ বলেছেন, আইপিএলে শিরোপা জয়ের সঙ্গে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার কোনও সম্পর্কে নেই।
তিনি বলেছেন, ‘সঞ্জু স্যামসন টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন যখন আমরা নির্বাচক ছিলাম। আমরা ওকে উপযুক্ত সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু সেই সময়ে, ও সত্যিই নজর কাড়তে সক্ষম হয়নি। পঞ্চাশ ওভারের খেলায় ও মিডল অর্ডারে খেলেছে। এবং ওর পারফরম্যান্স ভালো ছিল। কিন্তু যেটা ঘটনা, ওই একই সময়ে অন্যান্য উইকেটরক্ষক-ব্যাটাররাও ওর থেকে ভালো পারফরম্যান্স করে ফেলে। ইশান কিষাণ সম্প্রতি ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। অবশ্যই ঋষভ পন্ত আছে। দীনেশ কার্তিকও গত বছর দলে ফিরে এসেছিল। সে কারণেই, কখনও কখনও সুযোগ পাওয়া কঠিন হয়।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘তার পরেও আমি বলব যে, আইপিএল শিরোপা জেতার সঙ্গে জাতীয় দলে সুযোগের কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ আইপিএল জিতলেও যদি না থাকে, তা হলে? সুতরাং, পারফরম্যান্সই একমাত্র মানদণ্ড। যদি আইপিএল সিজনে ৭০০-৮০০ রান করা হয়, সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়উ নির্বাচিত হবে সেই প্লেয়ার। হ্যাঁ আইপিএল শিরোপা জেতা গুরুত্বপূর্ণ। তবে জাতীয় দলে শুধুমাত্র পারফরম্যান্সই শেষ কথা বলে।’
For all the latest Sports News Click Here