রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিরোধিতা বিরাজমান, তবে ‘প্রজাপতি’ বিতর্কে মিঠুনের পাশে সায়নী
মুক্তির পর থেকে বিতর্কের মুখে দেব-মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘প্রজাপতি’। গত ২৩ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। একাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও, সরকারি সিনেমা হল ‘নন্দন’-এ জায়গা পায়নি ‘প্রজাপতি’। যা নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হচ্ছে।
এই বিষয় এ বার মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। অভিনেত্রীর কথায়, রাজনৈতিক মত পার্থক্য রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে। তবে অভিনেতা মিঠুনকে নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা নেই তাঁর।
বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে সুকান্ত মঞ্চে যুব সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়নী বলেছেন, ‘এটা দেব আর কুণাল ঘোষ, দুজনের বিষয়। কুণাল ঘোষ আমাদের দলের মুখপাত্র, উনি যা বলেন, ভেবে বলেন। আর দেব আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ, অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং দেব নিজের কাজ ভালো মতোই করেন। তাঁদের মধ্যে যদি কোনওরকম মতো বিরোধ হয়, সেটা তাঁরাই সামলাবেন।’
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত ‘রেডি’, ‘বোল রাধা বোল’ প্রযোজক নীতিন মনমোহন
অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘মিঠুন চক্রবর্তীর বিষয়ে আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ওঁর আমি বিরোধিতা করলেও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কথা বলার যোগ্যতা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের নেই।’
দেব এবং মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত বাংলা ছবি ‘প্রজাপতি’ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। রাজনৈতিকভাবে দেব তৃণমূল সাংসদ এবং মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির সক্রিয় একজন নেতা। অর্থাৎ একে অপরের বিরোধী হলেও এই ছবিতে তাঁদের এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে। তবে নন্দনে হল পায়নি এই ছবি। এর জন্য তৃণমূলকে নিশানা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
উল্লেখ্য, এই ছবি প্রসঙ্গে মিঠুনকে আক্রমণ করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, ‘মিঠুনদার জন্য ছবি ডুবেছে।’ কুণাল বলেন, ‘দেব ভালো ছেলে। তবে মিঠুনদার জন্য ছবি ডুবেছে। দেব আগামী দিনে মিঠুনদাকে নিয়ে কোনও ছবি করলে সেক্ষেত্রে যা তাঁকে যেন ডিস্কো ড্যান্সার জাতীয় চরিত্র দেন। কোনও সংবেদনশীল চরিত্র নয়। ছবিকে টানার জন্য বিজেপি বিতর্ক তৈরি করছে। তবে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে সিনেমা করার সিদ্ধান্ত মানেই আত্মঘাতী হওয়া।’
এরপরই এক বাংলা বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেছেন, ‘এটা কুণালদার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেখানে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু প্রযোজক হিসাবে যদি বলি যে, ২৩ তারিখ ছবিটা রিলিজ করেছে। এখনও হাউজফুল চলছে। বিশাল ছবি হওয়ার পথে আছে। আমি বিজেপি, তৃণমূল সবাইকে বলব, বিতর্ক তৈরি করবেন না। বিতর্ক করলে মানুষ ভয় পেয়ে যাবে।’
সাংসদ-অভিনেতা আরও জানিয়েছেন, ‘ছবিটা দেবের জন্য হোক বা মিঠুনদার জন্য, ছবিটা যেন হিট হয়। কাউকে উত্তর দেওয়ার জন্য বলছি না, কিন্তু প্রয়োজনে আবার মিঠুনদাকে নেব। মিঠুনদাকে স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী প্রয়োজন পরলে আবারও নেব। উনি হ্যাঁ বা না বলতে পারেন ওঁর ইচ্ছা অনুযায়ী। মিঠুনদার অভিনয় নিয়ে অন্তত আমার দলের বাকিদের চুপ থাকা উচিত।’ আপাতত ‘প্রজাপতি’ বিতর্কে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি, চলছে পালটা মন্তব্য।
For all the latest entertainment News Click Here