রাজনীতিবিদ হতে পারলেন না- ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনার পর অশ্বিনীকে কেন এমন বললেন হিরণ
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ট্রেনের ১০-১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ধাক্কা মারে পাশের লাইন দিয়ে যাওয়া যশবন্ত এক্সপ্রেসের শেষের কয়েকটি কামরাকে। ফল? ভারতীয় রেলের অন্যতম ভয়ংকর দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। একটা কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল এই দিনটি। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে প্রায় ৩০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। আহতের সংখ্যাও প্রায় সহস্রাধিক। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনার পরই সেখানে পৌঁছে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। থাকেন সেখানে। যতক্ষণ না ফের এই অভিশপ্ত লাইনে যান চলাচল শুরু হয় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। নিজেই তদারকি করেন সবটা। এবার তাঁকে নিয়েই টুইটারে একটি পোস্ট করলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
এই ট্রেন দুর্ঘটনার পর অনেকেই রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেছেন। শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের খেলা। আর তখনই হিরণ সেই প্রসঙ্গ টেনে এই পোস্ট করলেন।
হিরণ এদিন তাঁর টুইটে লেখেন, ‘এই মানুষটার নাকি পদত্যাগ চাই! ভোর ৪:৩০ টা থেকে রাত ১১ টা, ঠায় পড়ে আছেন দুর্ঘটনাস্থলে! খাওয়া, ঘুম ভুলে এই প্রখর রোদে। এর আগে কত রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে, রেলমন্ত্রীরা ঘটনাস্থলে এসেছেন-গেছেন, এইভাবে একটানা কেউ থেকেছেন? ধুর্! রাজনীতি করতে হবে না? সারাদিন দুর্ঘটনা নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে? অশ্বিনী বৈষ্ণব সত্যিকারের রাজনীতিবিদ হতে পারলেন না, হতাশ!’
তিনি অতীতের বিষয়কে টেনে এনে খোঁচা দিতেও ছাড়েন না। তিনি সেই বিষয়ে লেখেন, ‘ছবিটা দেখছেন? খুব চেনা ছবি। আপনি, আমি, আমাদের মতো অজস্র সাধারণ ভারতীয় স্বজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় এভাবেই বসে থেকেছি, বসে থাকি, কোনও না কোনও হাসপাতালের বাইরে বা অন্য কোনও খানে। উৎকণ্ঠিত, বিমর্ষ মুখে। ফারাকটা হচ্ছে – ইনি অশ্বিনী বৈষ্ণব, ভারতীয় রেলমন্ত্রী। চাইলে হেলিকপ্টার চেপে দুর্ঘটনাস্থলে এসে, আমলা-গামলা, কর্মচারীবৃন্দকে দু’চারটে আদেশ দিয়ে, টেলিভিশন ক্যামেরায় সুন্দর কয়েকটা বাইট দিয়ে, কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আওড়ে, কিছু বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘চক্রান্তের’ দোষারোপ করে, কয়েকজন অফিসারকে সটান সাসপেন্ড করে কেটে পড়তে পারতেন, যেমনটা হত ২০১৪ সালের আগে।’
তিনি অশ্বিনী বৈষ্ণবের প্রশংসা করে লেখেন, ‘নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের কর্তব্য চেতনা দেশের সরকারের মন্ত্রীদের কর্মপন্থায় বিপ্লব ঘটিয়েছে। আইআইটি কানপুরের ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলি-কম্যুনিকেশনের মেধাবী ছাত্র, বিদেশি বহুজাতিকের অতি উচ্চপদস্থ আধিকারিক, ১৯৯৪ UPSC IAS -এ অল ইন্ডিয়া ২৭ ব়্যাঙ্ক, কিন্তু সমস্ত কিছু ছেড়ে মোদীজির ভাবধারা, মোদীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশসেবা করতে এসেছেন, সাধারণ মানুষের সেবা করতে এসেছেন – সাধারণ মানুষ হয়েই! হ্যাটস অফ, স্যার! নিশ্চিন্ত থাকুন। দেশের শত্রুদের ষড়যন্ত্র সামনে আসবেই। ভারতবর্ষ আপনার সঙ্গে আছে।’
For all the latest entertainment News Click Here