রয়, রিঙ্কু, সুয়াশ ছাড়া CSK-র বিরুদ্ধে KKR-র কারণ বাকি সবাই! জঘন্যতম দিন নাইটদের
জেসন রয়, রিঙ্কু সিং এবং সুয়াশ শর্মাকে বাদ দিতে হবে। রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে যে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) হারল, সেটার জন্য দায়ী নাইট ব্রিগেডের প্রত্যেক খেলোয়াড়, কোচেরা। ইডেন গার্ডেন্সে সম্ভবত মহেন্দ্র সিং ধোনির শেষ পেশাদারি ম্যাচে নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম জঘন্য ম্যাচ খেললে কেকেআর।
জঘন্যতম বোলিং কেকেআরের
কোনও ভাষা বিশারদ যদি চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে কেকেআরের বোলিং দেখতেন, তাহলে নিশ্চিতভাবে ‘জঘন্যতম’-র ‘জঘন্যতম’ বোঝাতে কোনও বিশেষণ আবিষ্কার করে ফেলতেন। রবিবার স্রেফ নামেই বল করলেন কেকেআরের বোলাররা। শুধু চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের রান উপহার দিয়ে গেলেন। চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের কোনওভাবে খাটো না করেও বলতে হয় যে তাঁদের কাজটা সহজ করে দেন কেকেআর বোলাররা।
একমাত্র সুয়াশ শর্মা ভালো বোলিং করেন। চার ওভারে ২৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। বাকিদের দেখে মনে হচ্ছিল যে ‘সাজেশন’ না মিলতেই টেনশনে সব ভুলে গিয়েছেন। একের পর এক ‘ব্যাক অফ লেংথ’ বল করে গেলেন। যেরকম বলে মার খাচ্ছিলেন, পরের বলটা ঠিক সেখানেই করছিলেন। চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা বেধড়ক মেরে গেলেন। ইয়র্কারের সংখ্যা বা ব্লকহোলে বল কার্যত খুঁজে পাওয়া গেল না।
১৪ বলে ৪৯ রান চেন্নাইয়ের
১৩ তম ওভারের পঞ্চম বল থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে ঝড় তুলেছিল চেন্নাই। ওই ঝড়ই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তার আগে পর্যন্ত চেন্নাই ভালো ছন্দে খেললেও আইসিইউতে শ্বাস-প্রশ্বাস চলছিল কেকেআরের। ওই ১৪ বলে কেকেআরের অক্সিজেনের নলটা খুলে দেন অজিঙ্কা রাহানে এবং শিবম দুবে। ওই ১৪ বলে ৪৯ রান তোলে চেন্নাই। তারপর ফিরে তাকাতে হয়নি রাহানেদের। সেখান থেকে শেষ পাঁচ ওভারে ৭৫ রান তোলে চেন্নাই।
দিশাহীন অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্ট
পরপর হেরে বোলারদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছিলেন। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে নিজে যে অধিনায়কত্ব করলেন, সেটা দেখে নিজেই সম্ভবত লজ্জা পেয়ে যাবেন। বোলাররা ভুলভাল লাইনে বল করে যাচ্ছিলেন। কেকেআর অধিনায়ক সেটা স্রেফ দেখে গেলেন। ইডেনের বাউন্ডারি ছোটো, কোনদিকে বাউন্ডারির দূরত্ব কত, সেটার বিষয়ে যে তাঁর ধারণা নেই, তা বোঝা গেল। আর ধারণা থাকলেও সেটা কাজে লাগালেন না। তবে তিনি যে শুধু একা দোষী, সেটাও নয়। কেকেআরের হেডকোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত এবং বোলিং কোচ ভরত অরুণের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। ২০ ওভারের মধ্যে তাঁরা বোলারদের লাইন শুধরে দিতে পারলেন না?
ওপেনিং জুটি নাকি মিউজিক্যাল চেয়ার?
কেকেআরে কি আদৌ ওপেনিং জুটি ঠিক করা হয় নাকি ম্যাচের সকালে মিউজিক্যাল চেয়ারের মাধ্যমে ওপেনার বেছে নেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সাতটি ম্যাচে পাঁচটি নয়া ওপেনিং জুটি নিয়ে খেলতে নামল কেকেআর। একজন খেলোয়াড়কে গুছিয়ে নেওয়ার আগেই তাঁকে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আজ এন জগদীশন এবং সুনীল নারিনকে যে নামানো হল, সেটার কোনও যুক্তি নেই। জেসন রয়ের চোট থাকলেও এত বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা যেখানে, সেখানে এরকম ফাটকা খেলতে একমাত্র কেকেআরই পারে। তাও যেখানে বল সুইং করছে এবং নারিন যে শর্টবলের বিরুদ্ধে হামাগুড়ি দেন, সেটাও সবাই জানেন।
রাসেলকে ছয়ে নামানো
২৩৬ রান তাড়া করতে নেমে জঘন্য শুরু হয়েছে। রিকোয়ার্ড রানরেটে বেড়ে যাচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে রাসেলকে ব্যাটিং অর্ডারে তুলে আনল না কেকেআর। তাঁকে সাতে নামানো হল। যখন তিনি মাঠে এলেন, তখন রিকোয়ার্ড রানরেট ২০-র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। কোনও খেলোয়াড় যতই অভাবনীয় হন না কেন, পাঁচ ওভারে ১০০ রান তাড়া করে তুলতে পারার কাজটা হাতের মোয়া হয় না। যদিও সম্ভবত সেটাই ভেবেছে কেকেআর ম্যানেজমেন্ট। তাতে ফল যা হওয়ার, সেটাই হয়েছে।
(IPL 2023: আইপিএল সংক্রান্ত যাবতীয় টাটকা খবর ও আপডেটের জন্য হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার স্পেশাল পেজে – ক্লিক করুন এখানে, তাহলেই প্রবেশ করবেন আইপিএলের দুনিয়ায়)
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest Sports News Click Here