রবার বলে খেলেই এই সব শট অনুশীলন করেছি- স্কুপ খেলার রহস্য ভেদ করলেন সূর্যকুমার
বিশ্বকাপে তাঁর নামের সঙ্গে যোগ হয়েছে মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি। এ ছাড়াও ভারতের নতুন হিটম্যান, রান মেশিনের তকমাও জুড়েছে স্কাইয়ের নামের সঙ্গে। এ বারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ২২৫ রান করে ফেলেছেন সূর্যকুমার যাদব। এই বছর টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাজার রানের গণ্ডি টপকে নজিরও গড়ে ফেলেছেন তিনি। মধ্য গগনে রয়েছেন এখন সূর্য। তাঁর তেজে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে বিপক্ষের বোলাররা।
রবিবার জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেও ভারতের ত্রাতা হয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদবই। ভারতের বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনেও একই রকম বিস্ফোরক ব্যাটিং! এ দিনে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২৫ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেন। তাঁর সৌজন্যেই ১৮৬ রানের বড় স্কোর করে ভারত। সূর্য ছাড়া হাফসেঞ্চুরি করেছে কেএল রাহুল। তাঁর সংগ্রহ ৩৫ বলে ৫১ রান।
আরও পড়ুন: মধ্যগগনে সূর্য,T20-তে প্রথম ভারতীয় হিসেবে এক বছরে হাজার রানের রেকর্ড
তবে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে একার হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন সূর্যই। তাঁর স্কুপ শট দেখে হতবাক ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও। সুইপ, ওভার কভার, কাট অনায়াসেই মারেন। ক্রিকেট অভিধানের বাইরে গিয়ে আনকোড়া সব শট খেলেন। যা শুধুই সূর্যকুমার স্পেশ্যাল। ম্যাচের নায়ক সূর্যকুমার যাদবকে রবি শাস্ত্রী প্রশ্নও করে বসেন, ‘অফস্টাম্পের বাইরে প্রায় ষষ্ঠ বা সপ্তম স্টাম্পের বল পা ভাঁজ করে বসে বাঁ কানের ৫-৬ ইঞ্চি পাশ দিয়ে উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠাও কী করে?’
আরও পড়ুন: তোমরা জেতো-পাকিস্তানের ফায়দা করে, দলের সুবিধের জন্য বাবরের কাছে মিনতি ডাচ তারকার
সূর্যকুমার হেসে বলেন, ‘আমার অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। এই সব শট খেলতে আমার কোনও অসুবিধে হয় না। আমি যখন রবার বল ক্রিকেট খেলতাম, তখন এই সব অদ্ভূত ধরনের শট মারা প্র্যাকটিস করতাম। আমার লক্ষ্য থাকে দ্রুত গতিতে রান তোলা। নিজের শক্তির জায়গাটা ধরে রাখি। সুইপ, ওভার কভার, কাট শট বেশি খেলার চেষ্টা করি।’
রবিবার একটা সময়ে ১০১/৪ হয়ে গিয়েছিল ভারতের। সেখান থেকে সূর্যকুমার ও হার্দিক পান্ডিয়ার জুটি ম্যাচে ফেরায় মেন ইন ব্লু-কে। কোনও বিশেষ পরিকল্পনা ছিল? সূর্যকুমার বলেন, ‘আমার এবং হার্দিকের ব্যাট করার সময়ে পরিকল্পনা স্পষ্ট ছিল। ও বলেছিল আমরা ইতিবাচক খেলি, দেখা যাবে কোথায় শেষ করি। তার পরেই আমরা মারতে শুরু করি এবং সেটা ২০ ওভার পর্যন্ত চলে। আমাদের দলের পরিবেশ দারুণ। আমার প্ল্যান সব সময়েই পরিষ্কার। আমি আলাদা কিছু করার চেষ্টাই করি না। নেটেও একই ভাবে ব্যাট করি। ব্যাট করতে নামার সময়ে প্রতি বারই ভাবি শূন্য থেকে শুরু করছি। সেটাই করে যাব। আমরা সেমিফাইনালে চলে যাওয়া সত্ত্বেও এত সমর্থক আমাদের সাপোর্ট করতে এসেছে দেখে ভাল লাগছে।’ প্রসঙ্গত শেষ পাঁচ ওভারে ৭৯ রান তোলে ভারত।
For all the latest Sports News Click Here