রঞ্জি জিতে সতীর্থদের এগিয়ে রাখলেন উনাদকাট
এবারও হল না। রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে সেই সৌরাষ্ট্রের কাছে শেষমেশ হার মানল বাংলা। তৃতীয় দিনে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ও অনুষ্টুপের অর্ধশতরানের ইনিংস কাজে এল না। চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলার অবশিষ্ট ব্যাটিং লাইনআপ। ম্যাচ জিততে সৌরাষ্ট্রকে মাত্র ১২ রানের টার্গেট দেয় বাংলা। এক উইকেট হারিয়ে হেলায় সেই রান তুলে দেয় সৌরাষ্ট্র। ফলে ফের স্বপ্নভঙ্গ হল মনোজ তিওয়ারি, লক্ষ্মীরতন শুক্লাদের।
ঘরের মাঠ ইডেনের পিচ বুঝতে না পেরে ফাইনালে শুরু থেকেই চাপে ছিল মনোজ তিওয়ারির দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪০৪ রান করেন সৌরাষ্ট্রের ব্যাটাররা। বাংলার বোলারদের রীতিমতো বেগ পেতে হয় উইকেট তুলতে। যেভাবে খেলা এগিয়ে যাচ্ছিল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার জেতার সম্ভাবনা কমতে থাকে। তবে তৃতীয় দিনের শুরুতে কামব্যাক করে বাংলার বোলাররা। সৌরাষ্ট্রের সব উইকেট ফেলতে সফল হন তারা।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। তখন ম্যাচের হাল ধরতে থাকেন অধিনায়ক মনোজ। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন অনুষ্টুপ। ফলে এই দুই ব্যাটারের জোড়া অর্ধশতরান আশার আলো দেখাতে শুরু করে। চতুর্থ দিনের সকালে সমস্ত লড়াই শেষ হয়ে যায়।
২০১৯-২০ মরশুমের পর বাংলাকে রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে হারাল সৌরাষ্ট্র। সেবার সৌরাষ্ট্রের মাঠে হারতে হয়েছিল মনোজদের। এবার নিজেদের ঘরের মাঠেই হারতে হল বাংলাকে। ম্যাচ জিতে সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট বলেন, ‘কোনও একটি ম্যাচে জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না। এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া। আমরা এর পিছনে অনেক পরিশ্রম করেছি। আমরা বিজয় হাজারে ট্রফিও জিতেছি। তার ফলে দলের মধ্যে আমরা একটা ধারাবাহিকতা পেয়েছি। দলের যখন প্রয়োজন হয়েছে তখন প্রত্যেক ক্রিকেটারই জ্বলে উঠেছে। শুধুমাত্র কয়েকজন ক্রিকেটার নয়, প্রত্যেককেই দলকে সাহায্য করেছে। যেখানে আমাদের আরও উন্নতি করার প্রয়োজন ছিল তার পিছনে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি সৌরাষ্ট্রের হয়ে খেলতে পছন্দ করি। সৌরাষ্ট্র আমার হৃদয়ের অনেক কাছাকাছি থাকা দল।’
For all the latest Sports News Click Here