‘রক্ষণের দুর্বলতাই পার্থক্য গড়ে দিল’, প্রথম ডার্বি হেরে আফসোস ইস্টবেঙ্গল কোচ রিভেরার
প্রথমবার ডার্বিতে দলের হেড কোচ হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন মারিয়ো রিভেরা। প্রধান কোচ হিসেবে না হলেও আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজের সহকারী হিসাবে এর আগে ডার্বির স্মৃতিটা মিষ্টিমধুর ছিল তাঁর। তবে ম্যাচের আগেই বলে দিয়েছিলেন মোহনবাগানই ফেভারিট, ম্যাচ শেষে রক্ষণের দুর্বলতাই তফাৎ করে গড়ে দিল বলে আফসোস রিভেরার।
এদিন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে অমরজিৎ সিং কিয়ামের বদলে দলে ফিরেছিলেন হীরা মন্ডল। তবে ম্যাচের মাত্র ১০ মিনিটেই, রিভেরার প্রাথমিক পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। বাধ্য হয়েই আদপে মিডফিল্ডার অমরজিৎকে পুনরায় রাইট ব্যাকে নামাতে হয় এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। সেটাকেই কাজে লাগিয়ে এটিকে মোহনবাগান ম্যাচ জিতে বেরিয়ে গেল বলে করছেন রিভেরা।
বেদনাদায়ক পরাজয়ের পর তিনি বলেন, ‘আমরা যেমনটা চেয়েছিলাম, তেমনভাবেই খেলেছি। তবে প্রথমার্ধেই আমাদের দল (অঙ্কিত) চোটের কবলে পড়ে এবং দলের রক্ষণের এই দুর্বলতাটাই পার্থক্য গড়ে দিল। ম্যাচ হারলে হতাশা তো অবশ্যই হয়। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়েছি এবং ম্যাচ জিততেও পারতাম। খেলোয়াড়দের এই লড়াইটা ভীষণ গর্বের।’
ম্যাচে কিন্তু ড্যারেন সিডোয়েলের গোলে ৫৮ মিনিটে লিড নিয়ে নেয় লাল হলুদই। তাঁর হাতে থাকলে যে তিনি তখনই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজিয়ে দিতেন, তা মেনে নিচ্ছেন রিভেরা। তবে কিয়ান নাসিরি মোহনবাগানকে সমতায় ফেরালেও ম্যাচ জয়ের সত্যিই বেশ অনেক সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে নামতের শট বাঁচিয়ে দেন অমরিন্দর।
রিভেরার মতে দল শেষ অব্দি জয়ের জন্য ঝাঁপিয়েছে এবং জয়ের জন্য আগ্রহী হলে, অনেক সময়ই রক্ষণে ফাঁক থেকে যায়। তাঁর দল সেই ফাঁক ভরাট করতে পারেনি, শিকার করে নিচ্ছেন রিভেরা। তবে দলের ফুটবলারদের লড়াইটাকেও তিনি ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছেন। ‘আমাদের ফুটবলারদের লড়াকু মানসিকতাটাই আমাদের জন্য এই ম্যাচের ইতিবাচক দিক। ওরা পরিকল্পনামাফিকই খেলে। প্রথমার্ধে চোট আমাদের সমস্যায় ফেলে। তবে আমাদের পারফরম্যান্সে আমরা গর্বিত এবং পরের ম্যাচ জেতার জন্য প্রস্তুত।’ জোরালো দাবি রিভেরার।
For all the latest Sports News Click Here