যেমন ব্যাটিং, তেমনই ফিল্ডিং, আফগানদের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটে উড়ে গেল বাংলাদেশ
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৯৪ রানে অল আউট হয়ে ৬২ রানে ম্যাচ খোয়াতে হয়েছিল আফগানিস্তানকে। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দাপটের সঙ্গে আট উইকেট এবং ১৪ বল বাকি থাকতে নিজেদের নামে করল আফগান। সৌজন্যে ফজলহর ফারুকি ও আজমাতুল্লাহ উমরজাইয়ের বোলিং, হাজরাতুল্লাহ জাজাইয়ের ব্যাটিং এবং অবশ্যই বাংলাদেশের ফিল্ডিং।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। তবে শুরুটা একেবারেই ভাল করতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে গত ম্যাচের হিরো লিটন দাস মাত্র ১৩ রানে আউট হন। লিটনসহ দুুই ওপেনারকে নয় ওভারের আগেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শাকিব আল হাসান ৯ রানে আউট হলে ৫০ রানের নীচেই চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও শততম টি-টোয়েন্টি খেলা মুশফিকুর রহিম ৪৩ রান যোগ করে দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে তাঁরাও যথাক্রমে ব্যক্তিগত ২১ ও ৩০ রানে আউট হন। নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১১৫ রান তোলে বাংলাদেশ। ফজলহক ও আজমাতুল্লাহ তিনটি করে উইকেট নেন। রিগ খান ও মহম্মদ নবি একটি করে উইকেট পান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই আফগান ওপেনার হাজরাতুল্লাহ ক্যাচ তুললেও তা ধরতে ব্যর্থ হন নাসুম আহমেদ।
রহমানুল্লাহ গুরবাজ মাত্র তিন রানে আউট হলেও উসমান ঘানি ও হাজরাতুল্লাহ দলকে টেনে নিয়ে যান। ৩৯ ও ৪১ রানে ব্যাট করা ঘানিরও ক্যাচ দুই দুইবার ফেলে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে দোষী ছিলেন আফিফ হোসেন এবং মহম্মদ নইম। শেষমেশ ৪৭ রান করে আউট হন ঘানি। তবে হাজরাতুল্লাহ নিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি অর্ধশতরান করে দলকে জয় এনে দেন। তিনি ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদি হাসান ও মাহমুদুল্লাহ একটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ শেষে দলের ফিল্ডিং নিয়ে চূড়ান্ত হতাশা ও ক্ষোভ উগড়ে দেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিল্ডিংয়ে নিঃসন্দেহে উন্নতি করতে হবে। যে কোনোভাবে ফিল্ডিংয়ের উন্নতি ঘটানো আবশ্যক। এর ফলে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমার মনে হয় আমাদের আবার জুলাইয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে। আশা করছি সেই ম্যাচগুলোতে আমরা পুরোদমে ফিরে আসব।’ এই জয়ের ফলে আফগানিস্তান দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ড্র করতে সক্ষম হল।
For all the latest Sports News Click Here