‘যা রেখে গিয়েছেন তাই নিয়ে আছি’, উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবসে আবেগঘন সাবিত্রী
সালটা ১৯৮০। ২৪ জুলাই রাত সাড়ে নয়টা, বলা ভালো ৯.৩৫ মিনিটে গোটা বাংলা, বাঙালির মহানায়ক উত্তর কুমার চিরঘুমে শায়িত হন। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ছবিতে কাজ করতে করতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন, হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসকদের চেষ্টা বিফল করে চলে যান মহানায়ক। রেখে যান অসমাপ্ত কিছু কাজ। থেকে যায় তাঁর করা অসামান্য এবং কালজয়ী সিনেমা ও চরিত্ররা। দেখতে দেখতে তাঁর প্রয়াণের ৪৩ বছর পূর্ণ হল। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে আজও তাঁর শূন্যতা কেউ ভরাট করতে পারেননি।
যে অভিনেতার অভিনয়, রূপ ব্যক্তিত্বে গোটা বাংলা মজে জানেন কি তিনিই একটা সময় লাগাতার ফ্লপ ছবি উপহার দিয়েছিলেন বক্স অফিসে। তাঁকে ‘ফ্লপ মাস্টার’ বলেও ডাকা হতো একটা সময়। কিন্তু পাহাড়ি সান্যালের হাত ধরে তাঁর জীবন তো বটেই বাংলা চলচ্চিত্র জগতের মোড় সম্পূর্ণ বদলে যায়। উপহার দেন ‘বসু পরিবার’, ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, ‘সপ্তপদী’, ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘পৃথিবী আমারে চায়’, ‘ঘরে বাইরে’, ‘দেওয়া নেয়া’, ‘চিড়িয়াখানা’র মতো একটার পর একটা ছবি। প্রসঙ্গত তিনি এই বিনোদন জগতে এসে একাধিকবার নামও বদলান।
তাঁর এবং সুচিত্রা সেনের জুটি সুপারহিট এবং কালজয়ী হলেও, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর জুটি কিন্তু বেশ চর্চিত ছিল। তাঁদের অনস্ক্রিন রসায়নের মতোই ভালো ছিল তাঁদের সম্পর্ক। উত্তম কুমার তাঁকে ‘সাবু’ বলে ডাকতেন। তাঁরা একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন।
সহকর্মী, সহঅভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর মনের কী অবস্থা। উত্তম কুমারকে নিয়ে আজও কী ভাবেন তাঁর আদরের ‘সাবু’ ওরফে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় জানালেন HT বাংলাকে। বললেন, ‘উনি নেই এটা আমি মানি না। উনি ওঁর যা শিল্পকলা রেখে গিয়েছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা সেটা নিয়েই বেঁচে থাকব। ওঁকে নিয়ে আমার স্মৃতিচারণা করার আর কিছুই নেই। উনি আমার কাছে এখনও জীবন্ত।’
প্রসঙ্গত উত্তর কুমারের প্রয়াণ দিবসে তাঁর ভক্তদের জন্য চট্টোপাধ্যায় বাড়ির দরজা খুলে দেওয়া হয়। বহু ভল্টের সমাগম হয় এদিন সেই বাড়িতে।
For all the latest entertainment News Click Here