‘যারা বেইমানি করে না’, এভাবে অভিনেতা-বন্ধুর প্রশংসা করলেও মিঠাইয়ের নিশানায় কে
২০১৯ সাল। ‘কনে বউ’-এর সেটে দু’জনের আলাপ। আলাপ থেকে বন্ধুত্ব। ধারাবাহিক শেষ হলেও ছুঁতে পারেনি দূরত্ব। কথা হচ্ছে সৌমিতৃষা কুণ্ডু এবং সায়ক চক্রবর্তীর। ব্যস্ত রুটিনের ফাঁকেও একে ওপরের জন্য সময় বার করে নেন যাঁরা।
বন্ধুকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ‘মিঠাই’। ফেসবুকে সায়ককে নিয়ে লিখলন, ‘কিছু বন্ধু ভাগ্য করেই পাওয়া যায়! বন্ধুর চোখের জল দেখলে কোনও কিছু বিবেচনা না করেই নিজের ‘ইমেজ’ ভুলে হয়তো অপ্রস্তুত কিছু করে ফেলে। যারা বিনা স্বার্থে বন্ধুর ভালোর জন্যে সব করে দিতে পারে ,যারা বেইমানি করে না, বিশ্বাসঘাতকতা করে না, বন্ধুর ‘ঘর’ ভাঙে না,বন্ধুর অনুপস্থিতিতেও বন্ধুকে নিয়ে সুখ্যাতি করে…’।
স্তুতিবাক্যগুলির সঙ্গে একটি ছবি জুড়ে দিয়েছেন নায়িকা। দেখা যাচ্ছে, বন্ধুর কোলে মাথা রেখে শুয়ে সায়ক। দু’জনের মুখেই উজ্জ্বল হাসি।
কাজ নিয়ে বেজায় ব্যস্ত দু’জনেই। তবু ব্যস্ত রুটিনে ফাঁক পেলেই বসে পড়েন আড্ডায়। সায়কের কথায়, ‘সৌমিতৃষা আমার খুব ভালো বন্ধু। ধারাবাহিক করতে গিয়ে বন্ধুত্ব হয়েছিল। তা এখনও রয়ে গিয়েছে। ওর মনের কথাগুলো ও আমার সঙ্গে ভাগ করে নেয়। সব বলে আমাকে। এ রকমই আমাদের বন্ধুত্ব।’
সৌমিতৃষার এই প্রশংসাসূচক পোস্টে নজর কেড়েছে ‘বেইমানি’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’-র মতো কিছু শব্দ। বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের পাশাপাশি নাম না করেই কাউকে কটাক্ষ করছেন অভিনেত্রী? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ‘মিঠাই’-এর অনুরাগীমহলে।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘মিঠাই’-এর সেটের আভ্য়ন্তরীন গোলযোগ নিয়ে কম চর্চা হয়নি। শোনা গিয়েছিল, সহকর্মী আদৃত রায় এবং কৌশাম্বি চক্রবর্তী সঙ্গে কথা নেই সৌমিতৃষার। ভেঙেছে বন্ধুত্ব। গুঞ্জন, কৌশাম্বির সঙ্গে সম্পর্কে আদৃত। অন্য় দিকে, পর্দার নায়কের সৌমিতৃষা। আর এই ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই নাকি যাবতীয় মনোমালিন্য। তবে কি দুই ‘একদা বন্ধু’কে নিশানা করেই ওই শব্দগুলির ব্যবহার? উত্তর অজানা।
For all the latest entertainment News Click Here