‘যখনই প্রেম করতে যাই তার একটা বউ থাকে’, দিদি নম্বর ১-এ বিয়ে না করা নিয়ে সাবিত্রী
রূপের ছটায় আজীবন মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তবে এত সুন্দর একজন অভিনেত্রী বিয়ে করেননি কেন এই নিয়ে প্রশ্ন আছে মানুষের মনে। স্বভাবতই তিনি যখন হাজির হয়েছিলেন ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে, তখন তাঁর কাছে এই প্রশ্নই রেখেছিলেন শো-র হোস্ট রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জবাবে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর জবাব ছিল, ‘যখনই প্রেম করতে যাই তার একটা বউ থাকে’!
যদিও একটুও সিরিয়াস নয়, বেশ হাসির ছলেই একথা বলেছেন সাবিত্রীদেবী। তবে একথা শুনে উত্তমকুমারের নাম মনে আসতে যে বাধ্য! উত্তমকুমারের সঙ্গে খানিকটা প্রেম যে ছিল, তা অবশ্য বলতে কোনও দিনও দ্বিধা বোধ করেন না তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘(প্রেম) তা ছিল তো খানিকটা। তবে রটনাটা বেশি, আসলটা কম। যেটা শোনা গিয়েছিল যে আমায় বিয়ে করে বালিগঞ্জে বাড়ি ভাড়া করে আছে, যা নিয়ে ঝড় বয়ে গেল, সেসব কিন্তু কিচ্ছু না।’ সেই সাক্ষাৎকারেই তিনি জানিয়েছিলেন, ‘উত্তম আমার প্রতি পজেসিভ ছিল।’ আরও পড়ুন: মহানায়কের প্রতি প্রেম নিয়ে আজও অকপট, আজীবন অবিবাহিতই রয়ে গেলেন সাবিত্রী
‘দিদি নম্বর ১’-এ সাবিত্রী বললেন, ‘আমার জীবনে খালি কাউকে পেলাম না। এখনও যদি খালি লোক পাই বিয়ে করে নেব’। তবে রচনার কথার উত্তরে জানালেন, এখন একটু একা লাগে তাঁর।
১৯৩৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের কুমিল্লার কমলাপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। কাজের সন্ধানে খুব অল্প বয়সে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোনের চরিত্রে ‘নতুন ইহুদি’ নাটকে প্রথমবার রঙ্গমঞ্চে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় সাবিত্রীর। ১৯৫১ সালে অগ্রদূত পরিচালিত ‘সহযাত্রী’ ছবিতে প্রথম কাজ উত্তম কুমারের সাথে। ১৯৫২ সালে ‘পাশের বাড়ি’ ছবিতে প্রথমবার তাঁকে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘পাশের বাড়ি’, ‘রাতভোর’, ‘উপহার’, ‘অভয়ের বিয়ে’, ‘নূপুর’, ‘গলি থেকে রাজপথ’, ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’, ‘কুহক’, ‘বধূ’, ‘ভ্রান্তি বিলাস’, ‘উত্তরায়ণ’, ‘জয়া’, ‘কাল তুমি আলেয়া’, ‘নিশিপদ্ম’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মাল্যদান’ প্রভৃতি।
For all the latest entertainment News Click Here