ম্যাক্সি-ফ্যাফের যুগলবন্দি ও হার্ষালের বোলিংয়ে জয়ের রসদ পেল ‘সবুজ’ RCB
শেষ ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের জিততে হলে দরকার ছিল ২০ রান। রান তাড়া করতে নেমে এই রান হামেশাই করে ম্যাচ জিতছে দলগুলো। বিরাট কোহলি এ দিন শেষ ওভারের দায়িত্ব হার্ষাল প্যাটেলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। হার্ষালের প্রথম তিন বলে অশ্বিন ১০ রান করেও ফেলেছিলেন। কিন্তু চতুর্থ বলে তিনি আউট হয়ে যান। আর এটাই হয়ে যায় ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। অশ্বিন আউট হতেই বাকি ২ বলে হয় ২ রান। হার্ষাল শেষ ওভারে ১২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ৭ রানে ম্যাচ জিতে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আরসিবি-কে ম্যাচ জিতিয়ে হিরো নিঃসন্দেহে হার্ষাল।
রবিবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শুরুতেই ধাক্কা খায়। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন বিরাট কোহলি। ট্রেন্ট বোল্টের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। শূন্য হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরে দলকে চাপে ফেলে দেন স্ট্যান্ডবাই অধিনায়ক।
আসলে ফ্যাফ ডু’প্লেসি সামান্য অস্বস্তিতে রয়েছেন। তিনি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাট করতে পারবেন, তবে ফিল্ডিং করতে পারবেন না। তাই নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কোহলিকে। তবে ফ্যাফের যে অস্বস্তি রয়েছে, সেটা তাঁর ব্যাটিং দেখে বোঝা যায়নি।
কোহলি আউট হওয়ার পর তিনে শাহবাজ আহমেদ ব্যাট করতে এলে, তিনিও দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। শাহবাজ ৪ বলে মাত্র ২ রান করেন। তাঁকে সাজঘরে ফেরান বোল্ট। দলের রান তখন ১২। ২ উইকেট হারিয়ে বসে রয়েছে আরসিবি। সেই সময়ে দলের হাল ধরেন ফ্যাফ এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
তৃতীয় উইকেটে ফ্যাফ এবং ম্যাক্সি ১২৭ রান যোগ করেন। ৩৯ বলে ৬২ করে রানআউট হন ডু’প্লেসি। ম্যাক্সওয়েল করেন ৪৪ বলে ৭৭ রান। তাঁকে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এর বাইরে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান একমাত্র দীনেশ কার্তিক। তিনি ১৩ বলে ১৬ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাননি। ফ্যাফ এবং ম্যাক্সওয়েল যখন ব্যাট করছিলেন, তখন মনে হয়েছিল ২০০ ছাপিয়ে বড় স্কোর করবে আরসিবি। তবে ফ্যাফ-ম্যাক্সি জুটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৯-এ শেষ বয় আরসিবি-র ইনিংস।
সেই রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৮২ করে রাজস্থান। ৭ রান তারা তাই ম্যাচটি হেরে যায়।
(বিস্তারিত আসছে)
For all the latest Sports News Click Here